আইনি পেশাতেও মানবিক মূল্যবোধের এক ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠছেন এই শিক্ষক- সমাজসেবী/১

বাপি ঘোষ ঃ বহু বছর ধরে তিনি শিক্ষকতা করেছেন। শিক্ষকতার চাকরি থেকে অবসর নিলেও শিক্ষকতাকে তিনি পুরোপুরি বিদায় জানাননি।এখনো নিয়ম করে শিলিগুড়ির ঐতিহ্যমন্ডিত আনন্দময়ী কালিবাড়িতে গিয়ে তিনি বিনা পয়সায় বহু আর্থিকভাবে অনগ্রসর ছেলেমেয়েকে কোচিং দিয়ে থাকেন। শিক্ষকতার চাকরি জীবনে মানুষ তৈরির চাষ করতে তিনি যেমন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তেমনি অর্থ রোজগারের একটা অংশ দিয়ে ধারাবাহিকভাবে মানবিক ও সামাজিক কাজ করেছেন।পূবালি সেনগুপ্ত স্মৃতি সংস্থার মাধ্যমে তিনি সংস্কৃতি, অঙ্কন,দুঃস্থ ও মেধাবীদের পাঠ্য পুস্তক প্রদানের মতো কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন নিরলসভাবে তেমনই চারদিকে এক সুস্থ বাতাবরণ তৈরির প্রয়াস চালিয়ে গিয়েছেন।শিক্ষকতার চাকরি থেকে অবসর নিয়ে বিগত চার বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি আইনী পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।জলপাইগুড়িতে অবস্থিত কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চে তিনি সুনামের সঙ্গে প্র্যাকটিস করছেন। তিনি বলেন,সবার আগে আমরা মানুষ আর মানুষ হিসেবে আমাদের সামজিক ও মানবিক দায়বদ্ধতা না থাকে তবে আমরা কিসের মানুষ। সেই হিসাবে এতটাই ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব শিলিগুড়ি দেশবন্ধু পাড়া নিবাসী এই বিপ্লব সেনগুপ্ত যে কোনো মক্কেল তাঁর কাছে এলে তিনি প্রথমেই মক্কেলকে প্রশ্ন করেন,কেন আপনি মামলা করবেন? একটি মামলা করা মানে তার পিছনে অর্থ খরচ রয়েছে, সময় রয়েছে তার চেয়ে পরস্পর বিবাদ না করে মীমাংসা করে নিলে কেমন হয়? কোথাও তিনি দেখছেন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ অথচ তাদের শিশু সন্তান রয়েছে। বাবা-মার বিরোধ, মামলা থেকে বড় কষ্টে রয়েছে সন্তান। সেই শিশুর মানসিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। বিপ্লববাবু সেই সব বিচার করে মানবিক ও সামাজিক দৃষ্টিকোন বিচার করে স্বামী স্ত্রীর বিরোধ মামলা মেটাতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।এভাবে বিষয় সম্পত্তি থেকে অনেক পারিবারিক বিরোধের নিষ্পত্তি করতেও তিনি সুন্দর ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছেন।আবার বহু গরিব দুঃখী মানুষ আছেন যাঁরা অর্থের কারনে আইনি সুবিধা গ্রহণ করতে পারছেন না, বঞ্চিত হচ্ছেন আইনি অধিকার থেকে তাদের অধিকার পাইয়ে দিতে নিজের ফী মকুব করে দিচ্ছেন বিপ্লববাবু।শুধু তাই নয়,আইনি পেশাতে প্রবেশ করেও সামাজিক ও মানবিক দায়বদ্ধতার কাজ থেকে এক বিন্দুও পিছিয়ে আসেননি এই ভালো মানুষটি।যাদের অর্থ আছে, তাঁর কাছে আইনি সহযোগিতার জন্যে আসছেন তাদের কাছ থেকে ফী ইত্যাদি গ্রহণ করে আর্থিকভাবে অনগ্রসরদের তিনি সহযোগিতা করছেন।আইনি পেশায় নিজের যুক্তিবুদ্ধি সর্বোপরি পেশাকে আরও শানিত এবং ঝাঁঝালো করে তুলতে প্রচুর পড়াশোনা করেন তিনি। কারও মামলা গ্রহন করলে সেই মামলা নিয়ে তিনি প্রচুর আইনি পড়াশোনা করেন রাত জেগে।আর এরজন্য নিয়মিত একের পর এক বই তাঁকে কিনতে হচ্ছে। মহানুভব এই বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব চান,স্কুল কলেজ স্তরে বেশি বেশি করে আইনি সচেতনতা বৃদ্ধি পাক।এরজন্য একটি টীম গঠন করে পূবালী সেনগুপ্ত স্মৃতি সংস্থার মাধ্যমে বিনামূল্যে আইনি সচেতনতা শিবির আয়োজন করতে চান তিনি। তিনি বলেন,ছাত্রছাত্রীরা বিজ্ঞান, কলা,বানিজ্য যা নিয়েই পড়ুক না কেন তাদেরকে দেশের সংবিধান সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। তাদেরকে আইন সম্পর্কে জানতে হবে। জীবনে চলার পথে আইন জানাটা অত্যন্ত জরুরি। তবে আইনের জন্য বিশেষ সুখবর হলো,বহু মেধাবী ছাত্রছাত্রী এখন আইন পাশ করে আইনি পেশায় যুক্ত হচ্ছেন। তবে সাধারণ মানুষকেও আইন সম্পর্কে সচেতন হওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন এই সমাজসেবী। তিনি বলেন,প্রকাশ্য জনবহুল স্থানে ধূমপান অনুচিত জেনেও অনেকে ধূমপান করছেন। হাসপাতাল বা নার্সিং হোমের সামনে গাড়ির হর্ন না বাজানোই উচিত। বিনা কারনে হর্ন বাজালে শব্দ দূষণের মাধ্যমে অন্যের ক্ষতি হতে পারে তা জানা দরকার সকলের। বিয়ে বাড়ির শোভাযাত্রা বের করে রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টি, বাজিপটকার ব্যবহার,ডিজে বাজিয়ে শোভাযাত্রা অন্য অনেক অসুস্থ মানুষের ক্ষতি করছে এসব মানুষকে নিজের ভেতর থেকে উপলব্ধি করা প্রয়োজন। আইন থাকলেও সবকিছু আইন প্রয়োগ করে হয় না,মানুষকেও আত্মসচেতন হওয়া জরুরি। সামনে স্বাধীনতা দিবস, স্বাধীনতা দিবস আমরা উদযাপন করবো, কিন্তু জাতীয় পতাকাকে কিভাবে মর্যাদা বা শ্রদ্ধা জানাতে হয় সেটাও আমাদের ভিতর থেকে বোঝা প্রয়োজন।
ব্যতিক্রমী সমাজসেবী ও শিক্ষক থেকে ব্যতিক্রমী আইনজীবী হিসাবেও তিনি আজ বিভিন্ন মহলে আজ সমাদৃত হচ্ছেন। আইনি সচেতনতা, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মানবিক মূল্যবোধ নিয়ে খবরের ঘন্টার কাছে কি কি বললেন বিশিষ্ট সুনাগরিক বিপ্লব সেনগুপ্ত তা খবরের ঘন্টায় দেখতে থাকুন ধারাবাহিকভাবে।চলুন শোনা যাক ঠিক কি কি বলছেন বিপ্লববাবু
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —-