
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ শনিবার পয়লা এপ্রিল থেকে শুরু হলো জি-২০ সম্মেলন।বিশ্ব মানচিত্রে উত্তর পূর্ব ভারতের গেটওয়ে শহর শিলিগুড়ি আরও একবার তার নাম বিশ্ব মানচিত্রে বেশ ভালোভাবেই ঠাঁই করে নিলো।
বিভিন্ন দেশ থেকে ১৫১ জনের
প্রতিনিধি দল শিলিগুড়িতে পৌঁছেছেন।উত্তরবঙ্গের পর্যটন ছাড়াও মকাইবাড়ি চা বাগান এবং বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা পরিদর্শন করছেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
দার্জিলিংয়ে রাজভবনও পরিদর্শন করার কথা রয়েছে প্রতিনিধি দলের সদস্যদের।সেই কারণে শনিবার সস্ত্রীক শিলিগুড়ি পৌঁছন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।এদিন কলকাতা থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন রাজ্যপাল।এরপর তিনি দার্জিলিংয়ের রাজভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বাগডোগরা
বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের কাছে হাওড়ার ঘটনা নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে । পুলিশ এলাকায় নজরদারি করছে।ঘটনার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শনিবার সকালে দিল্লি থেকে চার্টার্ড বিমানে বাগডোগরা বিমানবন্দর এসে পৌঁছন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। বাগডোগরা থেকেই সরাসরি তারা চামটার বিলাস বহুল হোটেলে পৌঁছন। সেখান থেকে ওই প্রতিনিধি দল সরাসরি কার্শিয়াং এর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। শনিবারই কার্শিয়াংয়ের মকাইবাড়ি চা বাগানে চাঁদের আলোতে চা পাতা তোলার কাজ তাদের সামনে তুলে ধরা হবে।
শুক্রবার এই সামিট নিয়ে শিলিগুড়ির নিউ চামটায় অবস্থিত মে ফেয়ার রিসোর্টে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় পর্যটন দপ্তরের সচিব অরবিন্দ সিং। সেখানে তিনি জানান, এই সামিটের মধ্য দিয়ে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গার যে ঐতিহ্য এবং ইতিহাস রয়েছে তা বিদেশী প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরা হবে। বিদেশি প্রতিনিধিরা শনিবার
রাতে কার্শিয়াংয়ে খাবার খেয়ে শিলিগুড়িতে ফিরে আসবেন। পরদিন, শিলিগুড়ির ওই নিউ চামটা রিসোর্টেই রয়েছে নানা অনুষ্ঠান। সেদিন উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু বিষয় প্রজেক্টরের মাধ্যমে সকলের সামনে তুলে ধরা হবে এবং সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে পর্যটন ক্ষেত্রে আরও উন্নয়ন কিভাবে করা যায় সেই সমস্ত বিষয়ে আলোচনা হবে। ৩রা এপ্রিল দার্জিলিঙে যাবে প্রতিনিধি দল। দার্জিলিংয়ের ঘুম স্টেশন, বাতাসিয়া লুপ, রাজ ভবন ইত্যাদি ভ্রমণের পর সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি ফিরে আসবেন তারা। ৪ঠা এপ্রিল শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে ফিরে যাবেন বিদেশি প্রতিনিধিরা।
