করোনার দুর্যোগ পরিস্থিতির মধ্যেই নতুন আলোর দৃষ্টিতে এই শিশু কন্যা

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ তিন বছরের শিশু কন্যা অতিকা কদিন আগেও চোখে কিছুই দেখতো পারতো না।পৃথিবীটা ছিল ওর কাছে পুরোপুরি অন্ধকারময়, কালো।এখন ও পৃথিবীর আলো একটু একটু করে দেখতে পারছে।পুরোপুরি অন্ধকার দূর হয়েছে ওর চোখ থেকে।এখন ও ওর বন্ধুদের সঙ্গে সামান্য হলেও খেলতেও শুরু করেছে। করোনার এই দুর্যোগের মধ্যেই অতিকার চোখ থেকে একটু একটু করে অন্ধকার সরছে।দৃষ্টিহীনতা দূুরে সরিয়ে ও আলোর জীবনে প্রবেশের লড়াই শুরু করেছে। গত ২৬ জুন ওর বাম চোখে অপারেশন হয়েছে, আগামী ১৭ জুলাই ডান চোখে দ্বিতীয় অপারেশন হবে।আর সেই অপারেশনের পর অল্প কিছুদিনের মধ্যে বেশ ভালো ভাবে অতিকা পৃথিবীর আলো দেখতে পারবে বলেই বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক ডাঃ সুপ্রতীক ব্যানার্জীর আশা।
আর এই ছোট্ট শিশু কন্যার জীবনে করোনার এই অন্ধকারময় পরিবেশে পৃথিবীর আলো পৌঁছে দেওয়ার ব্যতিক্রমী এক মহৎ কাজ করে বসেছেন ইনার হুইল ক্লাব অফ শিলিগুড়ি উত্তরায়নের প্রথম চার্টার্ড সভাপতি তথা কর্মকর্তা শ্রীমতী প্রমীলা বনশাল। তিনি অতিকার চোখের অপারেশনের জন্য দান করেছেন ষাট হাজার টাকা। শিলিগুড়ি বর্ধমান রোডের দ্য হিমালয়ান আই ইন্সটিটিউটের বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক ডাঃ সুপ্রতীক ব্যানার্জীও এগিয়ে এসেছেন। আসলে তিন বছরের শিশু কন্যা অতিকা জেহান জন্মান্ধ। ওর বাড়ি শিলিগুড়ি ডাঙিপাড়ায়।বাবা সামান্য একটি টায়ারের দোকানে কাজ করেন।কদিন আগেই ওর বাবামা অতিকার চোখে ছানি লক্ষ্য করেন।তাঁরা জানতে পারেন অপারেশনের মাধ্যমে অতিকা দৃষ্টি শক্তি পেতে পারে। কিন্তু সেই অপারেশনের জন্য টাকা নেই বলে তাঁরা পিছিয়ে যান।বিশেষ করে এই করোনা পরিস্থিতিতে তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নেই। কিন্তু টাকার অভাবে একটি শিশু কন্যা পৃথিবীর আলো দেখতে পারবে না? টাকার অভাবে এক শিশু দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়ে থাকবে? না, তা হতে পারে না।তাই খবর পেয়েই মানবিক মন নিয়ে এগিয়ে আসেন ইনার হুইল ক্লাব অফ শিলিগুড়ি উত্তরায়নের কর্মকর্তা প্রমীলা বনশাল।তিনি অতিকার চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ষাট হাজার টাকা দিয়ে এই করোনা অন্ধকারে এক নতুন আলোর দিশা রচনা করেন।