মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে বাংলার নবজাগরণের পথিকৃৎ দশ মনিষীর আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন শিলিগুড়িতে

নিজস্ব সংবাদদাতা,শিলিগুড়ি, ২ অক্টোবরঃ মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে বাংলার নবজাগরণের পথিকৃৎ ১০ মনিষীর আবক্ষ মূর্তির উন্মোচন হল শিলিগুড়িতে। গ্রীন সিটি প্রকল্পের অধীনে এবং শিলিগুড়ি পুরসভার উদ্যোগে শুক্রবার বিকেলে শিলিগুড়ি সূর্যসেন পার্কে বাংলার নবাজাগরণের ১০ মনিষী রবীন্দ্রনাথ, রাজা রামমোহন, বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দ, ডিরোজিও, ঋষি অরবিন্দ,মাইকেল মধুসূদন, বঙ্কিমচন্দ্র, অক্ষয় কুমার ঠাকুর এবং পঞ্চানন বর্মার আবক্ষ মূর্তি উন্মোচিত হয়।

বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে বাংলার নবজাগরণের পথিকৃৎ ১০ জন মনিষীর মূর্তি উন্মোচনের কথা থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সেই অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে যায়। অবশেষে পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্যের হাত দিয়ে এদিন উন্মোচিত হয় বাংলার নবজাগরণের পথিকৃৎ এই ১০ মনিষীর মূর্তি। অন্যদিকে এতদিন স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সূর্যসেন পার্কে প্রবেশ মূল্য থাকলেও এদিন থেকে তা সম্পূর্ণভাবে মকুব করা হয়েছে। এদিনের এই অনুষ্ঠানে শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুরসভার কো-অর্ডিনেটররা।

অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অশোক ভট্টাচার্য্য বলেন, ঊনিবংশ শতাব্দীতে বাংলার নবজাগরণের সময় পিছিয়ে পরা সামন্ত্রতান্ত্রিক চিন্তাধারাকে বদল করেছিলেন বাংলার মনিষীরা। শুরুটা সমাজ সংস্কারের কথা বলে শুরু করলেও আসলে তাঁরা যুক্তিকেই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই সময়ে নতুন করে যুক্তি এবং বিজ্ঞান চর্চাকে প্রতিষ্ঠা করা এবং পিছিয়ে পড়া চিন্তার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বাংলার নবজাগরণের পথিকৃৎদের আদর্শ এবং চিন্তাধারার সঙ্গে সাধারণ মানুষের পরিচয় হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেন অশোক ভট্টাচার্য্য। ভবিষ্যতে বাংলার নবজাগরণের পথিকৃৎ সমস্ত মনিষীদের নিয়ে সূর্যসেন পার্কে স্কুল-ছাত্রীদের প্রবন্ধ রচনা এবং অঙ্কন কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে এদিন জানান অশোক ভট্টাচার্য।