করোনা সচেতনতা মেনেই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে পর্যটন,

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ করোনা লকডাউনের জেরে বিধ্বস্ত অবস্থা পর্যটনের। অথচ পর্যটনের ওপরই দাঁড়িয়ে রয়েছে অর্থনীতির মূল ভিত। এই অবস্থায় দুর্গা পুজো শেষে উত্তরবঙ্গে পর্যটন সামান্য হলেও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বলে ভ্রমন ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, ঘর বন্দি অবস্থার মানসিক চাপ কাটাতে অনেক মানুষ উৎসব পর্বের এই সময় করোনা সতর্কতা মেনে নিরিবিলিতে পাহাড় জঙ্গলে সময় কাটানোর জন্য বেরিয়ে পড়ছেন।

শিলিগুড়ির ভ্রমন ব্যবসায়ী বাপন মন্ডল জানাচ্ছেন, তাঁরা ভেবেছিলেন পুজোতে পর্যটন ব্যবসা কম করে ৫ শতাংশ হতে পারে। সেখানে ব্যবসা হয়েছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। কলকাতা থেকে অনেক পর্যটক পাহাড় জঙ্গলে অফ বিট পর্যটনে এসে সময় কাটিয়েছেন। তাঁরা আশা করছেন নতুন বছরে এটা আরও বাড়বে। তারমধ্যে যদি করোনা প্রতিষেধক চলে আসে তবে মার্চ এপ্রিল বা মে জুনে একটা ট্যুরিস্ট বুম হতে পারে। গুজরাট, কেরালা, মহারাষ্ট্র থেকেও তাদের কাছে এনকোয়ারি শুরু হয়েছে এপ্রিল মে মাসের জন্য। আর এভাবে পর্যটন ঘুরে না দাঁড়ালে অর্থনীতির চাকা ঘুরবে না।

অপরদিকে ভ্রমণ বিশেষজ্ঞ সম্রাট সান্যাল জানিয়েছেন , করোনা লকডাউনের জেরে তাঁরা এক সমীক্ষা করেছিলেন। সেই সমীক্ষা বলছে, করোনা লকডাউনের ফলে প্রতিদিন এই এলাকায় পর্যটনে ক্ষতি হয়েছে ২১ কোটি টাকা। বিদেশি পর্যটক আসা বন্ধ। এখনও সব ট্রেন বা বিমান যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়নি। তবে পুজোর মধ্যে উত্তরবঙ্গের মানুষরা এবার বাইরে যাননি। তাঁরা পাহাড় ডুয়ার্সে ঘুরেছেন। এটা একটা ভালো লক্ষন। তবে এখন ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ নিতে হলে নতুন করে আবার পর্যটনের সব দিক শুরু করতে হবে। কম্পিউটার বা মোবাইল হ্যাং করলে যেমন আমরা রি স্টার্ট করি তেমনই পর্যটনে আবার রি-স্টার্ট দরকার।
এদিকে শিলিগুড়ি সূর্যসেন কলোনি এলাকা থেকে মুভি ক্রাফট মিডিয়ার তরফে চৈতালি ব্যানার্জী জানিয়েছেন, করোনা লকডাউনের জেরে সিনেমা ট্যুরিজম উত্তরবঙ্গে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়েছে। সম্প্রতি কলকাতার টালিগঞ্জ থেকে একঝাক শিল্পী ডুয়ার্স ও দার্জিলিং পাহাড়ে শ্যুটিং করার জন্য এসেছেন। তারমধ্যে শাশ্বত চ্যাটার্জী থেকে শুরু করে অর্পিতা চ্যাটার্জী সহ আরও অনেকে রয়েছেন। মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, ইন্দ্রনীল সেনও রয়েছেন ওই শ্যুটিং দলে। ডুয়ার্সের সামসিং এলাকায় শ্যুটিং হচ্ছে। চৈতালি ব্যানার্জী এবং তাঁর স্বামী বাবলু ব্যানার্জী ছাড়াও মুভি ক্রাফট মিডিয়ার অন্য কর্মীরা এই শ্যুটিং পর্ব সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন। এরমাধ্যমে অনেকের কর্মসংস্থানও হচ্ছে।