দু’বছরের শিশুর শ্বাসনালীতে মাংসের হাড়, গলা কাটা হলো,তারপর—?

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ চিকিৎসকদের অনেকেই ভগবানের সঙ্গে তুলনা করেন।কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের চিকিৎসা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠলেও বহু ক্ষেত্রেই কিন্তু আবার চিকিৎসকরা অবিশ্বাস্যভাবে বহু মৃতপ্রায় মানুষের প্রানও ফিরিয়ে দেন।আর তখন চিকিৎসকরা যে ভগবানের মতোই তা প্রমান করে দেন।অন্তত বৃহস্পতিবার সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ই এন টি বিভাগের চিকিৎসকরা এমনই এক অবিশ্বাস্য কাজ করে নজির তৈরি করলেন।মাত্র দু’বছরের এক শিশুর গলায় শ্বাসনালীর মধ্যে আটকে গিয়েছিল মাংসের হাড়। সেই শিশুর জীবন বিপন্ন হয়ে উঠেছিল। ডুয়ার্সের চামুর্চি থেকে শিশুর অভিভাবকরা বুধবার রাত থেকে এই হাসপাতাল সেই হাসপাতালে ঘোরাঘুরি করতে থাকেন।শেষে তাঁরা মুমূর্ষু শিশুকে নিয়ে পৌঁছন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ই এন টি বিভাগে।সেখানকার বিভাগীয় প্রধান ডাঃ রাধেশ্যাম মাহাতোর নেতৃত্বে ই এন টি বিভাগের সব চিকিৎসক সেই শিশুর প্রান বাঁচাতে মাঠে নামেন।অপারেন থিয়েটারে ডাক্তাররা প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টায় শিশুর শ্বাসনালী থেকে গলা কেটে বের করেন মাংসের হাড়। ডাঃ রাধেশ্যাম মাহাতো জানিয়েছেন, এই অপারেশন তাদের কাছে চ্যালেঞ্জিং ছিলো।শিশুটি এখন ভালো আছে।তাঁরা আশা করছেন শিশুটি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারবে।এখন তাঁরা শিশুটিকে সবসময় নজরে রাখছেন।শিশুর গলে কেটে শ্বাসনালী থেকে মাংসের হাড় বের করা তাদের কাছে এক কঠিন কাজ ছিলো।শিশুদের এ জাতীয় খাবার বিশেষ করে মাছ মাংস খাওয়ানোর সময় অভিভাবকদের অত্যন্ত সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে এদিন ই এন টি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান।অপরদিকে সেই শিশুর অভিভাবকরা এখন ডাক্তারদের ভগবান হিসেবে ডাকতে শুরু করেছেন।