লেখালেখি, কয়েন ও ডাক টিকিট সংগ্রহের নেশায় বার্ধক্যেও দিব্যি আছেন স্মৃতিকণাদেবী

নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়িঃ পুরনো কয়েন ও ডাকটিকিট সংগ্রহ এবং লেখালেখি নিয়েই সময় কাটছে শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গের বিশিষ্ট লেখিকা স্মৃতিকণা মুখোপাধ্যায়ের। তার সঙ্গে সঙ্গী হিসেবে তিনটি রেডিও তো আছেই। সঙ্গে তার লেখালেখির কাজে সব সময় উৎসাহ দিয়ে পাশে থাকছেন তার অসুস্থ স্বামী তপন মুখোপাধ্যায়। শিলিগুড়ি সেবক রোড গ্রীন ভ্যালি অ্যাপার্টমেন্টে এভাবেই ৬৫ বছর বয়সেও দিব্যি আছেন স্মৃতিকণাদেবী। আর লেখালেখির জেরে তার একের পর এক পুরস্কার এসে চলেছে।
সম্প্রতি নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন শিবপুর শাখা, অন্যদিকে চন্দন নগর শাখা দু’দফায় সাহিত্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। আর দুটোতেই গল্প পরিবেশন করে প্রথম ও তৃতীয় স্থান দখল করেছেন তিনি।নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন এর শিবপুর শাখায় বড়দের গল্প লিখে তিনি প্রথম স্থান পেয়েছেন আর চন্দননগরে গল্প লিখে তৃতীয় স্থান পেয়েছেন। এর আগে কোথাও প্রবন্ধ, কোথাও শিশুদের জন্য লেখালেখি করে তিনি অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। তার লেখা দুটি বইও প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি কলকাতা বইমেলায় তার লেখা সবুজ কথা কলি বইটি প্রকাশিত হয়। এর আগে তার একটি বই গল্প কথা গল্প কথা প্রকাশিত হয়। লেখালেখির পাশাপাশি স্মৃতিকণাদেবী প্রচুর পড়াশোনা করেন। তার সঙ্গে কয়েন সংগ্রহ করা তার ছোটবেলার নেশা। কলেজ জীবনে সেই নেশা আরো বেড়ে যায়। এখন পর্যন্ত তার কাছে পাঁচশোর বেশি কয়েন সংগ্রহ রয়েছে। এর বাইরে তিনি ডাকটিকিট সংগ্রহ করেন। এখনো এই বৃদ্ধ বয়সে তার ডাক টিকিট সংগ্রহের নেশা যায়নি। এসবের মধ্যে তার সময় কাটে রেডিও শুনে। রেডিও শুনি তিনি পৃথিবীর সব খবরাখবর রাখেন। বাড়িতে নেই টিভি। তিনি বলেন, বই পড়া এবং লেখালেখি করার মজাই আলাদা। নিয়মিত লেখালেখি করে মস্তিষ্ক সচল রেখে চলেছেন তিনি। তাছাড়া লেখালেখির ইতিবাচক দিক এই বয়সে তাকে বাড়তি শক্তি যোগায়।
তার এক সন্তান। সে সন্তান আমেরিকায় বিজ্ঞানীী হিসাবে কর্মরত। পুত্র, পুত্র বধূ, নাতিনাতনিদের সবসময় কাছে না পাওয়ার যন্ত্রণা এই বৃদ্ধ দম্পতির কাছে অনেকটাই মিটিয়ে দেয় রেডিও, বই পত্র,লেখালেখি,কয়েন সংগ্রহ ও ডাক টিকিটের নেশা।