
বাপি ঘোষ ঃ শিলিগুড়ি শিবমন্দির মাস্টার পাড়া নিবাসী স্কুল ছাত্রী তৃষা দত্ত গুরুতর অসুস্থ। দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে চলছে তাঁর বেঁচে থাকার সংগ্রাম। শিলিগুড়িতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে তৃষার পরিবার। কুড়ি লক্ষ টাকা খরচের পরও তৃষার রোগটি কি তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। তৃষ্ণ খুব মেধাবী এবং শৃঙ্খলাপরায়ন মেয়ে , বয়স তেরো, মাটিগাড়ার ওয়েস্টপয়েন্ট স্কুলে পড়ে সে। তাঁর পরিবার এখন চিকিৎসার জন্য বেঙ্গালুরু যেতে চায় কিন্তু আর্থিক দিক থেকে তাঁরা বিপর্যস্ত। খবরের ঘন্টা এই বিষয়ে সকলের কাছে মানবিক আবেদন নিয়ে সংবাদ সম্প্রচার করলে অনেক মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষ এগিয়ে আসেন। এরমধ্যে শিবমন্দিরের সমাজসেবী জ্যোতি ঘোষ এবং তাঁর স্ত্রী দীপালি ঘোষের নাম উল্লেখ করার মতো। শিবমন্দির নিবাসী আন্তর্জাতিক বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি সমিতির শিলিগুড়ি শাখার কর্মকর্তা সজল কুমার গুহ বুধবার তৃষাদের বাড়ি গিয়ে কিছু অর্থ সাহায্য করেছেন এবং তৃষার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন অপরদিকে সমাজসেবী জ্যোতি ঘোষ এবং তাঁর স্ত্রী দীপালি ঘোষ শুধু যে তৃষাকে অর্থ সাহায্য করেছেন তাই নয়, অন্যান্য মানুষদের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য গ্রহণ করে তা তৃষ্ণার পরিবারের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন মানবিক কারনে। কেও গুগল পে-তে সাহায্য করছেন কেও নগদে। যাঁরা এ পর্যন্ত অর্থ সাহায্য করেছেন তারা হলেন—-
1)Kanai Chatterjee:5000 টাকা,
2)Binod Agarwal:2100 টাকা,
3) Swasti Ghosh: 2000.00 টাকা,
4) Prakash ch Das: 2000.00 টাকা
5) Bikash Roy: 1000.00 টাকা
6) Chandrima Das: 1000.00 টাকা
7) Nandita Basu : 2000.00 টাকা
8) Pawan Projapoti:1100.00টাকা
9) Shyamal kr Ghosh: 2000.00 টাকা। এদের সকলকে ধন্যবাদ জানায় খবরের ঘন্টা।
অপরদিকে শিলিগুড়ির বিশিষ্ট সমাজসেবী ও পরিবেশবিদ জ্যোৎস্না আগরওয়ালা খবরের ঘন্টায় তৃষার খবর দেখে বলেছেন,তৃষার পরিবার উত্তরবঙ্গ পৌষ মেলা ট্রাস্টের কাছে লিখিতভাবে আবেদন জানালে বেঙ্গালুরু যাওয়াআসার টিকিটের বন্দোবস্ত করে দেওয়া হবে তাছাড়া বেঙ্গালুরুতে সেন্ট জন এম্বুলেন্স এর শাখা কার্যালয়ে বিনা পয়সায় রাত্রি যাপন করে তৃষার চিকিৎসা হয় তার প্রয়াসও তাঁরা নিতে রাজি বলে জোৎস্নাদেবী জানিয়েছেন।
তৃষাকে সাহায্য করার গুগল পে নম্বর হলো—- 9832580236। ব্যাঙ্ক সম্পর্কিত বিবরণ হলো—Moumita Dutta,UCO Bank,A/C no. 26850110027011
IFSC code — UCBA0002685
যোগাযোগ নম্বর 9832829610
প্রসঙ্গত এখনো নাক দিয়ে খাদ্য গ্রহণ করে যাচ্ছে এই বালিকা যা চোখে দেখলে ভাবা যায় না। সকলের ভালোবাসা, সহযোগিতা এবং আশীর্বাদ পেলে এই মেধাবী মেয়েটি সুস্থ হয়ে আবার মূল স্রোতে ফিরতে পারবে।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —
