পেশায় সব্জি বিক্রেতা, বিনা পয়সায় বাড়ি বাড়ি স্যানিটাইজেশনের নেপথ্যে কাঁচা লঙ্কা ও আঁচাড়

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ করোনা পরিস্থিতিতে বিনা পয়সায় বাড়ি বাড়ি স্যানিটাইজেশন চালিয়ে বিভিন্ন মহলের নজর কাড়তে শুরু করেছেন শিলিগুড়ি চম্পাসারি গনেশ ঘোষ কলোনির পঁচিশ বছর বয়সী যুবক সুদীপ ঘোষ। শিলিগুড়ি ইউনিক ফাউন্ডেশন টীমের তত্বাবধানে কাজ চলছে সুদীপের।

বাবার সঙ্গে সব্জি বিক্রি করেন উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ সুদীপ। আর সময় পেলেই করোনা আক্রান্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনা পয়সায় স্যানিটাইজেশন শুরু করেছেন। মার্চ মাসে করোনা শুরু হওয়ার আগে সুদীপ রক্ত দান থেকে শুরু করে অন্য সামাজিক কাজ করতেন ইউনিক ফাউন্ডেশন টীমের সঙ্গে। আর করোনা শুরু হওয়ার পর তাঁর এই স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু। বিভিন্ন বাড়ি ছাড়াও থানা, দমকল কেন্দ্র মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত সত্তরটিরও বেশি স্থানে স্যানিটাইজেশন করেছেন তিনি। করোনা আক্রান্ত মৃতের বাড়িও তিনি স্যানিটাইজেশন করেছেন ভয় না পেয়ে।

কিন্তু কিসের শক্তি আছে এই কাজের নেপথ্যে, সুদীপ বলেন, কাঁচা লঙ্কা। প্রতিদিন দুপুরে ভাত খাওয়ার পর একটি করে কাঁচা লঙ্কা চিবিয়ে খেয়ে নিচ্ছি। তার সঙ্গে একটু আচার। এছাড়া উষ্ণ গরম জলে স্নান, উষ্ণ গরম জল পান, ভিটামিন সি ট্যাবলেট গ্রহন। একটু নিয়ম করেই চলতে হয়।

কেন, এত কিছু কি কারনে, জানতে চাইলে সুদীপ বলেন, সমাজের ভালো হোক এটাই চাই। নিজে থেকে স্যানিটাইজেশনের দ্রবন তিনি তৈরি করেন। তার মধ্যে নিমও আছে। ইউনিক ফাউন্ডেশন টীম তাঁকে সহায়তা করে।ইউনিক ফাউন্ডেশন টীমের তরফে সমাজসেবী শক্তি পাল বলেন , তাঁরা সুদীপের সঙ্গে আছেন। সবসময় তাঁকে উৎসাহিত করেন।