ছাদের বাগানে প্রকৃতির এক অকৃত্রিম রংয়ের খেলা

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ বসন্ত উৎসবকে সামনে রেখে বিশ্ব কবি বহু কবিতা লিখেছেন। তারই মধ্যে একটি,”আহা আজি এই বসন্তে,/এতো ফুল ফোঁটে,/এতো বাঁশি বাজে এতো পাখি গায়।” আরেক কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন, ” বসন্ত আজ আসলো ধরায়,/ফুল ফুটেছে বনে বনে/ শীতের হাওয়া পালিয়ে বেড়ায় ফাল্গুনী মোর মন বনে।” বসন্ত আজ সত্যি জাগ্রত দ্বারে।কিন্তু মানুষ তো এই বসন্তে নানা কৃত্রিম রং নিয়ে মেতে ওঠে। সে রংয়ের উৎসবের ছত্রে ছত্রে যেন কৃত্রিমতার ছড়াছড়ি। আর প্রকৃতির আপন খেয়ালের রং খেলায় যদি আপনি প্রবেশ করেনতো দেখতে পারবেন,সেখানে যেন এক নির্ভেজাল সব অকৃত্রিম রংয়ের ছড়াছড়ি। শহরের কংক্রীটের জঙ্গলে আগের মতো প্রকৃতির সেই অকৃত্রিমতার খেলা দেখতে পাবেন না বটে তবে এরমধ্যেও কোনো কোনো প্রকৃতি প্রেমিক রয়েছেন যাঁরা শহরের মধ্যেই ছাদের ওপর তৈরি করছেন অপূর্ব এক পরিবেশ। তাদের শুভ হাতের স্পর্শে গাছেরা যেন অন্য আনন্দে মেতে ওঠে।লাল নীল বেগুনি হলুদ কত রঙের ফুলের খেলায় বাড়ির ছাদ যেন হয়ে ওঠে এক অপরুপ স্বর্গোদ্যান। শিলিগুড়ি এস এফ রোডের আনন্দমঙ্গল স্কোয়ারের ছাদে প্রতিভাবান পুস্প প্রেমিক কৌস্তুভ বিশ্বাস এমনই এক পরিবেশ তৈরি করেছেন। বহু রকমের ফুলের সঙ্গে টবের মধ্যে আম,আমলকি,তেতুল,বেদানা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সব্জি চাষ তিনি করছেন।গোটা বাড়ির ছাদে দূষণমুক্ত সবুজ পরিবেশ তৈরি হওয়াতে আজকের দিনে বিরল টুনটুনি,চড়াই, বাবুই,টিয়া সহ আরও নানা রকম পাখি আসছে সেই ছাদে।ভোরবেলায় সেই ছাদ বাগানের মধ্যে কোনো পাখি ফল খেতে কোনো পাখি জল খেতে আসছে।তারসঙ্গে কাঠবিড়ালির নাচানাচিতো রয়েইছে। আসলে এই বাগান করে তিনি নির্ভেজাল এক আনন্দ পান, তাই নিজের সন্তানের মতোই যত্ন নেন টবের গাছগুলোর প্রতি।গাছেদের নিয়মিত স্নান করানো থেকে খাবার দেওয়া সব একা হাতেই সামলে নেন।বাড়ির অন্য সদস্যরাও তাঁকে উৎসাহিত করেন। উত্তরবঙ্গ পুস্প প্রদর্শনীতে তাঁরা প্রচুর পুরস্কার জোটে।এবারও ব্যতিক্রম ঘটেনি।আবহাওয়ার যা পরিবর্তন আসছে তাতে কৌস্তভবাবুর মতো এরকম সবুজ নিয়ে মেতে থাকার অকৃত্রিম পরিবেশবান্ধব ব্যক্তির সংখ্যা যত বাড়বে ততই পরিবেশ ও সভ্যতার মঙ্গল।