
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নিজের বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতার পরিচয় নিয়ে দুষ্কৃতীর খপ্পর থেকে দৌড়ে পালালো অপহৃত কিশোরী। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ইসলামপুরে। ওই কিশোরীর বাড়ি ইসলামপুরের নয়াবস্তি এলাকায় ।ছয় দিন আগে সে তার দাদুর বাড়িতে যাবার পথে অপহৃত হয়। এক দুষ্কৃতী মোটরবাইকে করে তাকে তার দাদুর বাড়িতে পৌঁছে দেবে বলে জোর করে মুখে কাপড় বেঁধে উঠিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ইসলামপুর থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয় ওই কিশোরীর পরিবারের তরফে। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও ওই কিশোরীর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপরই দুস্কৃতীর খপ্পর থেকে বেরিয়ে এলো ওই কিশোরী।

সে জানায়, ছয় দিন আগে সে তার নানার বাড়ি যাচ্ছিল। সেই সময় এই ঘটনা।তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক দুষ্কৃতী একটি ঘরে তাকে আটকে রাখে এবং তার উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। এমনকি তার হাত ব্লেড দিয়ে চিরে দেওয়া হয় এবং তাকে ইনজেকশনও দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে সে ।অবিলম্বে অভিযুক্ত দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন ওই কিশোরীর মা ।স্থানীয় সমাজকর্মী ফিরোজ আহমেদ জানান ,ওই কিশোরীর মেডিকেল করা হোক এবং আসল ঘটনা সামনে আনা হোক। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তিনি। ইসলামপুর পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্যার প্রতিনিধি মহম্মদ শরীফ জানান ,ওই মেয়েটি তাদের বাড়িতে কাজ করত। কিছুদিন আগে সে কাজ ছেড়ে চলে যায় ।তারপরে এই ঘটনা তার কানে আসে। এমনকি ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও তিনি শুনেছেন।। যদিও এই ঘটনাটা নিয়ে বেশকিছু বিক্ষিপ্ত কথা তার কানে আসছে। তাই আসল ঘটনা উদ্ঘাটন হওয়ার বিষয়ে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন। ইসলামপুর পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে মহম্মদ জাকির নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে এদিন রাতে প্রকৃত দোষীকে গ্রেফতারের দাবীতে ইসলামপুর থানার সামনে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে পরিবার ও এলাকা বাসিন্দারা। দীর্ঘক্ষন অবরোধের ফলে জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ইসলামপুর থানার পুলিশ।