কেন এতো দুঃখ, পরিত্রানের উপায় কি– বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি

বাপি ঘোষ, শিলিগুড়ি :চারদিকে শুধু দুঃখ আর দুঃখ। রোগব্যাধি, মৃত্যু, হিংসা — কোনো শান্তি নেই। অথচ এই পৃথিবী সর্বোপরি সমগ্র প্রাণীর উন্নতি বা দুঃখশোক জয় করার জন্য চাই শান্তি। কিন্তু কিভাবে মানুষ এই দুঃখকষ্ট শোক তাপ থেকে মুক্তি পাবে? সেই সবের উত্তর বা দর্শন দিয়ে গিয়েছেন গৌতম বুদ্ধ।

কেন এতো দুঃখ, গৌতম বুদ্ধ বলেছেন,” দুঃখের কারন কামনাবাসনা,জ্ঞানহীনতা বা অবিদ্যা এবং অতিরিক্ত আসক্তি। ”
গৌতম বুদ্ধ আমাদের সামনে পঞ্চশীল এবং অষ্টাঙ্গিক মার্গের দর্শন দিয়ে গিয়েছেন।গৌতম বুদ্ধ বলেছেন, ” মানুষকে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গী,সঠিক চিন্তা, সঠিক কথা,সঠিক কাজ,সঠিক জীবিকা, সঠিক প্রচেষ্টা, সঠিক মনোযোগ এবং সবশেষে সঠিক সমাধিতে পৌঁছাতে হবে। ”
আজকের দিনে পৃথিবীতে আরও বেশি বেশি করে জরুরি হয়ে পড়েছে গৌতম বুদ্ধের এইসব বিজ্ঞানভিত্তিক দর্শন।
এবার ১২ই মে বুদ্ধ পূর্নিমা। অর্থাৎ বৈশাখি পূর্নিমা।এটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের একটি পবিত্র উৎসব। এই পূর্নিমা তিথিতেই মহামানব তথা কালজয়ী যুগপুরুষ গৌতম বুদ্ধের জন্মদিন,এই তিথিতেই তাঁর বোধি বা সিদ্ধিলাভ, আবার এই তিথিতেই তাঁর মহাপরিনির্বাণ লাভ। এই ত্রিস্মৃতি জড়িত বুদ্ধ পূর্নিমা তিথির পবিত্র সময়ে বুদ্ধ পূজার সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চশীল,অষ্টশীল,সূত্রপাঠ,
সূত্র শ্রবন,সমবেত প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বিভিন্ন বৌদ্ধ মঠে।
সেই দিকে তাকিয়ে খবরের ঘন্টা এবারও তাদের বিশেষ বুদ্ধ পূর্নিমা সংখ্যা প্রকাশের কাজে ব্রতী হয়েছে। এরজন্য গৌতম বুদ্ধের ওপর ২০০ শব্দের মধ্যে লেখা, অনু গল্প, কবিতা,বুদ্ধ পূর্নিমার ভাবনা বিষয়ক লেখা আহ্বান করা হচ্ছে। লেখা পাঠানোর শেষ তারিখ ৪ ঠা মে ২০২৫।
এর বাইরে এই সংখ্যা প্রকাশের জন্য যাঁরা সকলকে বুদ্ধ জয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বিজ্ঞাপন দিতে চান তারা হোয়াটসঅ্যাপ করুন 9641859567 নম্বরে। আপনার বিজ্ঞাপন প্রিন্ট মিডিয়াতে সাদা কালো ছাপা হলেও খবরের ঘন্টার ডিজিটাল সংস্করণে রঙিন আকারে ছাপা হবে। সেই বিজ্ঞাপন খবরের ঘন্টার সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পৌঁছে যাবে বহু লোকের মধ্যে।