নতুনদের মধ্যে সাহিত্য ও নাট্য চর্চা ছড়ানোর প্রয়াস

নিজস্ব প্রতিবেদন,শিলিগুড়িঃ সাহিত্য ও সংস্কৃতি, তা যদি হয় সৃজনমূলক, তবে তা সমাজে অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। বর্তমান সময় বড় যান্ত্রিক। ফেস বুক আর হোয়াটস আপে নতুনদের অনেকের সময় কাটে। বহু ক্ষেত্রেই হারিয়ে যাচ্ছে লেখালেখির মাধ্যমে সৃজনমূলক কিছু করার। যদিও এরমধ্যেও আবার কেও কেও সাহিত্য চর্চা করে যাচ্ছে। যেমন উত্তরের কবি মন।
গত পয়লা জুলাই রবিবার উত্তরের কবি মন পত্রিকা আয়োজিত মাসিক সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হল সঙ্গীত শিল্পী মৌসুমি দাসগুপ্তর বাড়িতে। উত্তরের কবিমন মাসিক সাহিত্য বুলেটিনের জুলাই মাসের সংখ্যাটিও এই আড্ডাতেই প্রকাশিত হয়েছে। পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুভান জানিয়েছেন, প্রতিমাসে তাদের আড্ডা লেকটাউনে অনুষ্ঠিত হয়। এবারে অবশ্য তা সঙ্গীত শিল্পীর বাড়িতে হয়েছে। এবারে কয়েক মাস অন্তর সাহিত্যকেন্দ্রিক তাদের আড্ডা শহরের বেশ কিছু বিশিষ্ট মানুষের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হবে। সাহিত্য মহলে উত্তরের তরুণদের এই সাহিত্য আড্ডা বেশ সাড়া ফেলেছে। শিলিগুড়ি শহরের বাইরে থেকেও ছেলেমেয়েরা ওই আড্ডায় আসছে। এবারের আড্ডায় তরুন কবি তপোব্রত সান্যালের হাতে কবি মনের তরফ থেকে বই উপহার তুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী মাসের আড্ডা অনুষ্ঠিত হবে ৫ আগস্ট। সুভান জানিয়েছেন, নতুনদের মধ্যে সাহিত্য ভাবনা ছড়িয়ে দিতে তারা আগামী দিনে আরও কিছু কর্মসূচি নেবেন। অন্যদিকে সাহিত্য সংস্কৃতির অঙ্গ হিসাবে আগামী ১৫ জুলাই শিলিগুড়ি ভক্তিনগর অরবিন্দ সোসাইটিতে মূকাভিনয় কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। শিলিগুড়ি শিশুনাট্যম প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের সংগঠনায় ওই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে বলে নাট্যকার দীপোজ্জল চৌধুরী জানিয়েছেন। এর পরিচালনায় থকছে জলপাইগুড়ির সৃষ্টি মাইম থিয়েটার। যোগাযোগের ঠিকানা আনন্দময়ী কালীবাড়ি সমিতির শিশু গ্রন্থাগার বিভাগ। মোবাইল ৯৪৭৪০৮৯৫৯৯ এবং ৯৪৭৪৩৮৬৪০৬। এই মূকাভিনয় কর্মশালার উদ্বোধন ১৫ জুলাই সকাল দশটায়। নাট্যকার দীপোজ্জল চৌধুরী শিলিগুড়ি ও তার আশপাশে শিশু কিশোরদের মধ্যে নাট্য চর্চা বাড়িয়ে তুলতে বহুদিন ধরে প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। দীপজ্জোলবাবু বলেন, ছেলেমেয়েদের মধ্যে বেশি বেশি করে নাট্য চর্চা বাড়িয়ে তোলা প্রয়োজন। ছেলেমেয়েরা যতই নাট্য চর্চা করবে ততোই তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটবে। আজকের দিনে যেভাবে স্ট্রেস বাড়ছে এবং অসুস্থতা সমাজকে গ্রাস করছে সেই হিসাবে সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে অভিভাবকদের এগিয়ে আসতে হবে।