
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ একজন কাঠ মিস্ত্রি গরিব,বাড়ি অনেক দূরে। স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি। দুপুর বেলা কোথায় খাবেন, কি খাবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। হাতে তেমন পয়সাও নেই যে পেট পুরে ভাত খাবেন।আর এক রিকশা চালকেরও দুপুরবেলা এক চিন্তা হচ্ছিল। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে যেসব রোগী ভর্তি রয়েছে তাদের প্রায় প্রত্যেকেই আর্থিক দিক থেকে অনগ্রসর। তাদের অনেকের কাছে একবেলা ভাত যোগাড় করাটাও কষ্টের। কিন্তু বুধবার দুপুরবেলাটা যেন তাদের কাছে হঠাৎ অন্যরকম হয়ে উঠলো।হাসপাতাল চত্বরে কোনও কোনও রোগীর পরিজন ভর দুপুরে খিদের জ্বালায় একটু আধটু ঝিমিয়েই পড়েছিলেন। হঠাৎ তাঁরা জেগে উঠলেন।সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়লেন। হাতে নিয়ে নিলেন একটি করে কাগজের প্লেট। তারপর সেই প্লেটে একে একে পড়লো ভাত,ভাজা,মুরগির মাংস আর মিস্টি।ভরদুপুরে খিদেয় কাতর হওয়া পেটে এধরণের খাবার পড়লে কে না খুশি হবে।সেসব খাবারের বিনিময়ে গরিব মানুষেরা কোনো অর্থ দিতে পারলেন না বটে তবে মন আর হৃদয় থেকে দিলেন প্রানভরা আর্শীবাদ ও ভালোবাসা। বুধবার দুপুরে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল চত্বরে শিলিগুড়ি এন্ড স্মাইল সোসাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি এই কর্মসূচি গ্রহণ করে। সংস্থার কর্মকর্তা তথা সমাজসেবী নবকুমার বসাক জানিয়েছেন, আসলে মালদার নেতাজি পার্ক নিবাসী প্রয়াত দীপালি সাহার সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র মহাদেব সাহা এবং কনিষ্ঠ পুত্র সহদেব সাহা সহ পরিবারের সকল সদস্য মিলে অসহায় দুঃস্থদের জন্য ওই মধ্যাহ্ন ভোজনের আয়োজন করেন। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে প্রায়ই এধরণের মানবিক ও সামাজিক কাজে ব্রতী হচ্ছেন এন্ড স্মাইল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবীরা।তাঁরা এদিন প্রয়াত দীপালি সাহার পুত্র এবং পরিবারের সকল সদস্যদের ওই মানবিক মানসিকতার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।আগামীতে কেও এই ধরনের মানবিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতার কর্মসূচি গ্রহণ করতে চাইলে শিলিগুড়ি এন্ড স্মাইল সোসাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর 7908846581।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —-
