নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়িঃ নিজের স্বার্থ চিন্তা আমাদের মধ্যে ভালবাসার বন্ধন শিথিল করে দিচ্ছে। কাওকে আমরা চার আনা দিলে বাহাত্তর আনা আশা করে বসছি। কাওকে আট আনা দিলে কোনও কিছু আশা না করাই ভালো। আর যদি আট আনার বিনিময়ে দুআনা আসে তবে সেটাই ভালো।এই চাওয়াপাওয়ার হিসেব থেকেই যত সমস্যা।ভালবাসা নিয়ে লিখতে গিয়ে এভাবেই বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সুন্দর বাঁধুনি তিনি তৈরি করেছেন।লেখায় ভগবান বুদ্ধ থেকে স্বামী বিবেকানন্দের বিভিন্ন মতামত ঠাঁই পেয়েছে।আর সে প্রবন্ধই গোটা রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে নিলো।প্রবন্ধের লেখিকা শিলিগুড়ির স্মৃতিকণা মুখোপাধ্যায় গত ৩১ জুলাই কলকাতার শিব পুর থেকে তার প্রথম পুরস্কারের শংসাপত্র, মেডেল,বই প্রভৃতি নিয়ে এসেছেন।স্মৃতিকণাদেবী বলছেন,ভালবাসা হল আঠার মতো।ভালবাসা দেখা যায় না।উপলব্ধি করা যায়। ভালবাসার জন্যই আবার সংসার চলছে।তার এলেখায় বারবার ভারতীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের প্রসঙ্গ এসেছে।নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের শিবপুর শাখা তাদের বার্ষিক সাহিত্য প্রতিযোগিতার অঙ্গ হিসাবে প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল।সেখানেই শিলিগুড়ি গ্রীন ভিস্তা এপার্টমেন্টের ৬৬ বছর বয়স্কা স্মৃতিকণাদেবী অংশ নিয়ে পুরস্কার ছিনিয়ে এনেছেন।
ছোট থেকেই,যখন তিনি স্কুলে পড়েন,তখন থেকেই লেখালেখি নিয়ে মেতেছেন স্মৃতিকণাদেবী।কলেজে পড়বার সময় সত্তরের দশকে নকশাল আন্দোলন নিয়ে একবার কলেজ ম্যাগাজিনে লেখা দেন।সে লেখাও বেশ শোরগোল তুলেছিল।তারপর এখনও লিখে চলেছেন। তবে বেশি লেখালেখি করেন শিশুদের ওপর। শিশুদের নিয়ে তার দুটি বইও প্রকাশিত হয়েছে।একটির নাম,গল্পকথা কল্পকথা,অপরটি আরত্রিক।একটি গল্প আর একটি উপন্যাস।সামনে আর একটি বই সবুজকলি কথা প্রকাশিত হতে চলেছে।আকাশবানী শিলিগুড়ির প্রত্যুষাতেও তিনি নিয়মিত লেখেন।তাছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন সাময়িক পত্রিকা,ত্রিপুরা ও আন্দামানের বিভিন্ন পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লেখেন।শিশুকিশোরদের ওপর তিনি বেশি লেখেন।তার কথায়,লেখার মাধ্যমে আমি বেশি করে শিশুদের মধ্যে মূল্যবোধ ছড়াতে চাই।শিশুদের হাতে আমি অস্ত্র তুলে দিতে চাই না।কোনও ধ্বংসাত্মক কাজ নয়,ইতিবাচক কাজ।