কোচবিহারে ঐতিহ্যবাহী বড় দেবীর পুজোর সূচনা হলো

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী রাজ আমলের বড় দেবীর পূজার সূচনা হলো বিশেষ ময়না কাঠ পুজোর মাধ্যমে। শুক্রবার ৫ই আগস্ট
কোচবিহারের ডাঙ্গরাই মন্দিরে বিশেষ ময়না কাঠ পুজো সম্পন্ন হয়।
প্রায় ৫০০ বছর আগে কোচবিহারের মহারাজা নর নারায়ণ এর সময় এই পুজো শুরু হয়েছিল । কথিত রয়েছে মহারাজা নর নারায়ণ স্বপ্নে বড় দেবীকে দেখতে পান। মহারাজা নর নারায়ণকে দেবী স্বপ্নে আদেশ দেন পুজা করার জন্য। তারপর থেকেই কোচবিহারের দেবী বাড়িতে হয়ে আসছে বড় দেবীর পুজো। বর্তমানে রাজার রাজত্ব না থাকলেও কিন্তু শ্রদ্ধার সাথে পূজিত হয় বড় দেবী। একটা সময় এই বড় দেবীর পুজোতে নরবলি দেওয়ার প্রথা ছিল। কিন্তু এখন নর বলি না হলেও বিশেষ গুপ্ত পূজায় বড় দেবীকে নর রক্ত দেওয়ার প্রচলন রয়েছে। বংশ-পরম্পরায় কোচবিহারের একটি পরিবার সেই বিশেষ গুপ্ত পুজোয় হাতের আঙ্গুল কেটে নর রক্ত দিয়ে আসছে। অন্য দশটি পুজো থেকেই একেবারে ভিন্ন নিয়মে পূজিত হয় কোচবিহারের বড় দেবী। শ্রাবণের শুক্লা অষ্টমী থেকে এই বড় দেবীর পূজার সূচনা হয়। কোচবিহারের ভাঙ্গরাই মন্দিরে যূগছেদন এর মধ্য দিয়ে এই পুজোর সূচনা হয়। একটি ময়না গাছ কেটে সেটিকে মন্দিরে নিয়ে এসে সেই ময়না কাঠটিকে মহাস্নান করানোর পর সেই বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। বড় দেবীর প্রতিমার মেরুদন্ড তৈরি করা হয় বড় কাঠ দিয়েই। ভাঙ্গরাই মন্দিরে এই বিশেষ পুজোর পর সন্ধ্যায় সেই ময়না কাঠ নিয়ে যাওয়া হয় কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে। সেখানে একমাস ধরে চলে বিশেষ পুজা। পায়রা বলির প্রচলন রয়েছে এই পুজোতে। কোচবিহার মদনমোহন মন্দিরে এক মাস এই ময়না কাঠের বিশেষ পুজোর পর কৃষ্ণা অষ্টমীতে বড় দেবীর মন্দিরে গৃহ পূজার আয়োজন করা হয়। রাধা অষ্টমীতে এই ময়না কাঠ নিয়ে যাওয়া হয় বড় দেবীর মন্দিরে। সেখানেও ময়না কাঠের মহাস্নান এবং বিশেষ পুজো হয়। তিন দিন ধরে বড় দেবীর মন্দিরে এই ময়না কাঠকে হাওয়া খাওয়ানোর প্রাচীন প্রথা রয়েছে। এরপর প্রতিমা শিল্পী ওই ময়না কাঠে দেবীর মূর্তি তৈরি করেন