ইতিবাচক ভাবনা নিয়ে কাজ করতে থাকা খবরের ঘন্টার সম্পাদক সংবর্ধিত

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ সংবর্ধিত হলেন খবরের ঘন্টার সম্পাদক বাপি ঘোষ। শনিবার শিলিগুড়ি রথখোলার জ্ঞানদা সুন্দরী গ্রামীণ গ্রন্থাগারে স্মরনে মননে স্বাদেশিকতায় রবীন্দ্রনাথ, অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সাংস্কৃতিক সংস্থা কলাঙ্গন। বিভিন্ন বাচিক শিল্পী এবং সংস্কৃতি কর্মীদের মধ্যে কলাঙ্গন একটি পরিচিত নাম।শনিবার কলাঙ্গন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মেলে ধরার ফাঁকে বর্ষীয়ান লেখক ও উত্তরধ্বনি পত্রিকার সম্পাদক বীরেন চন্দ সহ অন্য গুনী মানুষদের সংবর্ধনা জানায়।এরমধ্যে ছিলেন খবরের ঘন্টার সম্পাদক বাপি ঘোষও।সংবর্ধনা প্রদানের সময় খবরের ঘন্টার সম্পাদক সম্পর্কে কিছু ইতিবাচক দিক মেলে ধরা হয়। সংবর্ধনা প্রদানের সময়
সেখানে জানানো হয়,খবরের ঘন্টার সম্পাদক বাপি ঘোষের জন্ম ১৯৬৯সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারী বিহারের ঠাকুরগঞ্জে।ঠাকুরগঞ্জে জন্ম হলেও তাঁর শৈশব থেকেই বড় হয়ে ওঠা শিলিগুড়ি অরবিন্দ পল্লীতে দিদিমার কাছে। তাঁর দিদিমা প্রয়াত শ্রীমতি নীহার বালা দে ছিলেন শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের একজন কর্মী এবং দিদিমাই তাঁকে শৈশব থেকে বড় করে তোলেন। শৈশবে দিদিমার কাছে থেকে লেখাপড়ার মধ্যেই তাঁর যাতায়াত শুরু হয় ভারত সেবাশ্রম সংঘ, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ মহকুমা গ্রন্থাগার এবং জ্ঞানদা সুন্দরী গ্রামীণ গ্রন্থাগারে। পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন বই বিশেষ করে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের কথামৃত,স্বামী বিবেকানন্দের বানী ও রচনা,স্বামী প্রনবানন্দ মহারাজের বিভিন্ন বই কৈশোর জীবনে তাঁকে মানুষের সেবা করার ভাবনায় উদ্বুদ্ধ করে। সেই সময় থেকেই তাঁর লেখালেখি শুরু বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়।সেই কৈশোর বয়সেই এক সময় নিজের প্রাইভেট টিউশনের টাকায় ওয়াল ম্যাগাজিন তৈরি করে তাতে ক্যুইজ,মনিষীদের বিভিন্ন বানী লিখে জ্ঞানদা সুন্দরী গ্রামীণ গ্রন্থাগারের রিডিং রুমে নিজের উদ্যোগে তিনি টাঙিয়ে রাখতেন।উদ্দেশ্য ছিলো,সেবার মনোভাব। সেই সময় জ্ঞানদা সুন্দরী গ্রামীণ গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগরিক ছিলেন প্রয়াত শ্রী গোবিন্দ মল্লিক মহাশয়।তিনিও এই কাজে তাঁকে উৎসাহিত করতেন।এভাবে চলতে চলতেই লেখালেখির নেশা তাঁকে পেয়ে বসে।সেই সময়ই তিনি স্থির করে নেন, সাংবাদিকতার মাধ্যমে মানুষের সেবা করবেন।১৯৮৮-১৯৮৯ সালে হিন্দি দৈনিক জনপথ সমাচারে মাসিক তিনশ টাকা বেতন দিয়ে তাঁর সাংবাদিকতার জীবন শুরু বিশিষ্ট সাংবাদিক তুষার প্রধান ওরফে মনোজ রাউতের হাত ধরে । তারপর ডানপথ,পরবর্তীতে নব্বইয়ের দশকে নিজের সম্পাদনায় সান্ধ্য দৈনিক শিলিগুড়ি থেকে গ্রাম পত্রিকা প্রকাশ করা, তারপর আজকাল, বর্তমান পত্রিকার বাংলা নিউজ এজেন্সি, কলকাতা দূরদর্শন বা ডিডি সেভেন এ সম্প্রচারিত টেলি নিউজ ম্যাগাজিন দর্পন,উত্তরবঙ্গ সংবাদের সংবাদ নিউজ সার্ভিস, সিসিএন সংবাদ,সংবাদ প্রতিদিন সহ বিভিন্ন ছোট বড় পত্রিকায় কাজ করেছেন তিনি বিগত ৩৪ বছরে। এই মুহূর্তে তিনি কলকাতা থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিক স্টেটসম্যান, বঙ্গদর্শন ওয়েব নিউজ পোর্টালে কর্মরত।তার সঙ্গে নিজের উদ্যোগে খবরের ঘন্টা পত্রিকা প্রকাশ করা এবং খবরের ঘন্টার ডিজিটাল নিউজ প্রচার করার কাজ করছেন বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায়।
চারদিকে নেতিবাচক ভাবনার মানসিকতা যেভাবে বাড়ছে তাতে আমাদের মন ও পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। সেই দিকে তাকিয়ে খবরের ঘন্টা বেশি ভিউয়ার পাওয়ার মানসিকতা ত্যাগ করে স্রেফ ইতিবাচক ভাবনার পরিবেশ গড়ার স্বপ্নে সব ইতিবাচক খবর সম্প্রচার করছে বলে বাপিবাবু জানিয়েছেন ।বাপিবাবু বলছেন,
মোমবাতি যেমন জ্বলে ওঠার পর আলোর শিখাটি মোমবাতিকে ক্রমশ গলিয়ে দিয়ে তাকে শেষ করার দিকে নিয়ে যায়। তেমনই আমাদের শরীর নামক মোমবাতিটি ক্রমশ শেষ হয়ে আসছে।সময় ক্রমশই ফুরিয়ে আসছে। বাতাসের অক্সিজেন সহ এই প্রকৃতি যেভাবে শরীরের মধ্যেকার আত্মাকে মোমবাতির শিখার মতো জ্বালিয়ে রাখতে সাহায্য করছে এবং আমাদের শরীর নামক মোমবাতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে তা আর বলে বোঝানোর অপেক্ষা রাখে না। আমাদের পূর্ব পুরুষ মহামানবেরা সমস্ত সুখ ভোগ বিসর্জন দিয়ে আমাদের কথা ভেবে কাজ করে গিয়েছেন।তাদের ন্যুনতম অংশটুকুও আমরা করতে পারছি না। নেতিবাচক ভাবনার অন্ধকার পরিবেশ আমাদের নরক যন্ত্রণার দিকেই ঠেলে দিচ্ছে। তাই আর বেশি কিছু বলার নেই।
দীর্ঘ ঘটনাবহুল কর্মজীবনে কখনো অত্যাচারের শিকার হয়েছেন তিনি,শরীর থেকে রক্তপাত ঘটেছে, কখনো নানা প্রলোভন এসেছে। আরও বহু বাধা বিপত্তি এসেছে। সব কিছু উপেক্ষা করে এবং সংগ্রাম চালিয়ে এই পেশাকে তিনি জাপটে ধরে রয়েছেন সেই শৈশবের লেখালেখির নেশা এবং মানুষের সেবা বিশেষ করে অসহায় দরিদ্র অনগ্রসর মানুষের পাশে থাকার ভাবনা থেকে । বিধাতার নিয়মে আর যে ক’দিন এই মোমবাতির শিখা জ্বলবে সেকদিন এই পেশার মাধ্যমে দুঃস্থ অসহায় আর্ত মানুষের সেবা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন ।তিনি বলেছেন,এখনো বহু ইতিবাচক ভাবনার মানুষ রয়েছেন সমাজে,বহু শুভানুধ্যায়ী রয়েছেন আমাদের খবরের ঘন্টার– তাদের সকলের ভালোবাসা, অনুপ্রেরণা এবং সহযোগিতায় আমাদের ইতিবাচক ভাবনার কাজ অব্যাহত থাকবে।
সবাই ভালো থাকবেন,ইতিবাচক ভাবনার সঙ্গে থাকবেন।
তাঁকে সংবর্ধনা প্রদান করায় পৃথাদেবী এবং কলাঙ্গনের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বাপিবাবু।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন—