শীতের মধ্যে বন্ধ চা বাগানের অসহায় দুঃস্থদের হাতে কম্বল বিলি আমরা বেকারের

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল লাগোয়া কাওয়াখালি এবং তার আশপাশে সামাজিক ও মানবিক কাজে আমরা বেকার সংগঠন এখন একটি নাম। রবিবার ডুয়ার্সের নাগরাকাটা থানার বন্ধ থাকা গ্রাসমোড় ও গাঠিয়া চা বাগানের অসহায় দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করল আমরা বেকার সংগঠন।

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল লাগোয়া কাওয়াখালি এবং তার আশপাশে বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কাজ করে চলেছে আমরা বেকার। তাঁরা রাস্তার ধারে অসহায় দুঃস্থ মানুষদের প্রতিদিন খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়ে নজির তৈরি করেছে। নাগরাকাটার এ এন এম রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত সোনালী সামন্ত এক মাস আগে খবরের ঘন্টার মাধ্যমে চা বাগানের অসহায় দুঃস্থ মানুষদের জন্য মানবিক আবেদন জানালে সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে এদিন এগিয়ে আসেন আমরা বেকার সংগঠনের সদস্যরা। তাঁরা এদিন ওই চা বাগানে গিয়ে পাঁচশ অসহায় পরিবারের হাতে কম্বল তুলে দেন। রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত এ এন এম সোনালীদেবী আমরা বেকারের মানবিক কাজের তারিফ করেন। পাশাপাশি আমরা বেকার সংগঠন থেকেও সোনালীদেবীর ব্যতিক্রমী মানবিক কাজের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। এদিনের ওই অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিডিও উপস্থিত ছিলেন। খবরের ঘন্টায় তাঁর মানবিক আবেদনের জেরে যে আমরা বেকারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে সেকথা এদিন অনুষ্ঠানে সকলকে অবহিত করেন সোনালীদেবী।

অপরদিকে শনিবার শুভজিৎ দত্ত, কেয়া ব্যানার্জী এবং তার পুত্র কৌস্তুভ ব্যানার্জীর উদ্যোগে ডুয়ার্সের নাগরাকাটার গ্রাস মোড় ও গাঠিয়া চা বাগানের বেশ কিছু দুঃস্থ অসহায় গর্ভবতী মা এবং অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। তার সঙ্গে তুলে দেওয়া হয় কম্বল। করোনা মহামারীর জেরে বেশ কিছু মা এবং শিশু অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। শনিবার তাদের উদ্যোগে আয়োজিত ওই মানবিক কর্মসূচির জন্য তাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত এ এন এম সোনালী সামন্ত।