
শিল্পী পালিতঃ আজ আমাদের ওয়েবনিউজ পোর্টালের আত্মকথা বিভাগে শিলিগুড়ি শক্তিগড়ের মৌমিতা দাসের কথা মেলে ধরা হল–
নমস্কার। আমি মৌমিতা দাস শিলিগুড়ির শক্তিগড়ে আমি থাকি আমার মা বাবার সাথে! গানবাজনা ছোট থেকেই আমার ভালো লাগে,তবে কিছু শারীরিক সমস্যার কারনে সেভাবে শিখতে পারিনি,ছোটবেলায় টিভি দেখে দেখে গান গাইতাম,মন খারাপ লাগলে আয়নার সামনে নিজের মুখ দেখেই দেখেই গান গাইতাম!বাবার বদলির চাকরির কারনে নানান জায়গায় বসবাস ছিল,আলিপুরদুয়ার এ যখন থাকতাম গান শিখেছিলাম শ্রদ্ধেয় অনুমাধব সরকার এর কাছে!সেটাই ছিল হাতেখড়ি! তারপর 2009 এ চলে আসি শিলিগুড়িতে কয়েক বছর গান শিখি কয়েকটা অনুষ্ঠানেও গাই! “Tuners musical group” সহ চার পাঁচটা ব্যান্ড এ গাই! এভাবেই চলছিল 2016 সালে rediomisti তে একটা অনুস্ঠানে গাই!

সবকিছুই ঠিক চলছিল,সেই সময়ে গান শিখছিলাম বর্ণালী বসু ও সম্পিতা মিত্রর কাছে!2017 সালের শেষ দিকে হঠাৎই অসুস্হ হই! বন্ধ হযেযায় গান! হতাশা ঘিরে ধরে আমাকে!
সুস্থ হবার পর অনেক চেষ্টা করি গানের জগতে ফেরার! কিন্তু কিছু হয়ে ওঠেনি! তবে গান আমি ছাড়িনি,আজও গানকে আঁকড়ে বাঁচারই চেষ্টা করি! গানই আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু!আমার একাকীত্বের সঙ্গী……
অনেকের কাছেই অপমানিত হতে হয়েছে, নানান ভাবে মিথ্যা প্রতিশ্রুতির শিকার হয়েছি অনেক সময়ই! কারন গান আমার সবচেয়ে বড়ো দূর্বলতা! আবার একদিকে গানই আমার শক্তি! আমি আমার শারীরিক দুর্বলতাকে পাবলিক করে কখনোই বিখ্যাত হতে চাইনি,আজও চাইনা! আমার মা বাবাও অনেক চেষ্টা করেছে আমার জন্য কিন্তু সময়ের সাথে বয়সের ভারে তারাও আর পারেননা আমার জন্য কিছু করতে!
তবে গান গাইবার ইচ্ছা মনে রয়েই গেছে,এখনও চারদেওয়ালের ভেতর বসে অপেক্ষা করি কবে নিজের স্বপ্নকে সত্যি করতে পারবো! স্বপ্ন দেখি, আমি মঞ্চে গান গাইছি! হাজার হাজার মানুষ আমার গান শুনে হাততালি দিচ্ছে!সত্যিই জানিনা কবে আমার শারীরিক কমজোরিকে ছোট করে মানুষ আমার ভেতরের “ছোট খাটো “শিল্পী টাকেই বড়ো করবে! জানিনা আমি সেই দিনটা কবে আসবে, তবে আমি লড়াই চালিয়ে যাবো! আমি নিজের মতো করে এই লড়াই চালিয়ে যাবো!
কারন এই লড়াই আমার নিজের লড়াই! আমার ভেতরে থাকা এক শিল্পীর লড়াই! যেই শিল্পি চারদেওয়ালে বন্দি থাকা সত্ত্বেও, নিজের কন্ঠের দ্বারা,গানের দ্বারা হাজার হাজার মানুষের কান অবধি পৌঁছতে চায়!!আমি জিতবো না হারবো জানি না তবে আমি হাল ছাড়বোনা! কিছুতেই না….