নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়িঃ মহালয়ের পুণ্য প্রভাতে বাংলার মানুষ বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কালজয়ী মহিষাসুর মর্দিনী শুনতে অভ্যস্ত আকাশবাণীতে। কিন্তু শিলিগুড়িতে ৬১ বছর বয়স্কা এক মহিলা শারীরিক অসুস্থতা অগ্রাহ্য করে প্রতিদিন চন্ডীপাঠ করতে অভ্যস্ত। লোকচক্ষুর অন্তরালে তিনি নিঃশব্দে পড়ে থাকছেন চন্ডী ও গীতা পাঠ নিয়ে।তার কথায়,এই চন্ডী ও গীতা পাঠ তার মনে ইতিবাচক ভাব ও ইচ্ছা শক্তিকে আরও বাড়িয়ে চলেছে।
শিলিগুড়ি আশ্রমপাড়ায় বাড়ি এই মহিলার। তার নাম সুশ্বেতা বসু। লেখালেখি বা সাহিত্য চর্চার নেশা আছে তার। কিন্তু তার চেয়েও বেশি নেশা চন্ডী পাঠের। সোমবার দেবী পক্ষের সূচনা। আর সেদিন থেকে সুশ্বেতাদেবী তার বাড়িতে ঘট বসিয়ে নবরাত্রির ব্রত পালনের সঙ্গে সঙ্গে চন্ডী পাঠের নেশায় ডুব দেবেন।আবার তার বাড়ির কাছে স্কাইলার্ক ক্লাবের মহিলা সদস্যবৃন্দ দ্বারা পরিচালিত আশ্রমিকার পুজোতেও তিন দিন ধরে তিনি চন্ডী পাঠ করবেন।তার চন্ডী পাঠের কন্ঠে সেখানকার আকাশবাতাস ধ্বনিত হবে। তবে পুজো শেষ হলেও থামছে না তার চন্ডী পাঠ।তার বাড়িতে প্রতিদিন তিনি এর চর্চা চালিয়ে যাবেন।মাঘি পূর্নিমায় চম্পাসারিতে তিন ঘন্টা ধরে এক অনুষ্ঠানে তিনি চন্ডী পাঠ করে আসছেন।বাংলাদেশের ঢাকা জগৎগুরু মন্দিরে গিয়েও তিনি গীতা ও চন্ডী পাঠ করে এসেছেন। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার গিয়েও তার চন্ডী পাঠ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়া শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান এবং কোনও শুভ অনুষ্ঠানে গিয়েও তিনি চন্ডী ও গীতা পাঠ করেন। ছোটবেলা থেকে তার বাড়িতে পুজো পাঠ থেকে প্রথমে পাঁচালি, তারপর গীতা পাঠের নেশা শুরু হয়।পরে তার সঙ্গে যুক্ত হয় চন্ডী পাঠ। তার মা উষারানি গুহ যখন মৃত্যুপথযাত্রী সেইসময় মা এর সামনে তিনি গীতা পাঠ করতে থাকেন।গীতা শুনতে শুনতেই তার মায়ের প্রয়ান ঘটে। অস্টিওআর্থাইটিস নামক ব্যাধি সুশ্বেতাদেবীকে প্রচন্ড পীড়া দিয়ে চলেছে। কিন্তু তারমধ্যেও তিনি চন্ডী পাঠ করে চলেছেন।তার কথায়, চন্ডীর আলাদা একটি শক্তি রয়েছে। চন্ডী পাঠ মনে এক অন্যমাত্রার শক্তি এনে দেয়।বাড়িয়ে দেয় ইতিবাচক ভাব। ব্যথা তখন বিদায় নেয়।এই মহালয়ার পুণ্য লগ্নে আসুন তার কন্ঠেে চন্ডী পাঠের সামান্য একটু অংশ শুনে নিই।