হস্ত শিল্পের নেশা পেশায় পরিনত মানসীদেবীর

শিল্পী পালিতঃ শিলিগুড়ি হাকিমপাড়া থেকে মানসী দে তাঁর অসাধারণ সব হস্ত শিল্পের কথা লিখে পাঠিয়েছেন —

আমি প্রথমেই খবরের ঘন্টা পোর্টাল নিউজকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ,তারপর আমার বন্ধু বীণাপানি শিল্পী যে আমাকে লেখার জন্য উৎসাহ দিয়েছে তাকে জানাই অনেক ভালোবাসা।সেই অর্থে আমি খুব বড় শিল্পী নই।তাই নিজেকে নিয়ে লেখার খুব বেশি কিছু নেই।ছোটবেলা থেকেই আমার হাতের কাজের উপর নেশা ছিল,তাই স্কুলের work Education এর ক্লাসগুলো খুব ভালো লাগতো।আমি চেষ্টা করতাম কোন হাতের কাজ দিলে সেগুলো ভালো করে করার।মা আমাকে আর্ট স্কুলে ভর্তি করে দেন। আর্ট আমার বেশিদিন শেখা হয়নি।তারপর একটু বড় হবার পর ম্যাগাজিন বা পেপারে কোন কাপড়ের ডিজাইন দেখলে সংগ্রহ করার নেশা হয়ে যায়।কারণ তখন মোবাইল ছিল না।তাই ম্যাগাজিন ও পেপার থেকে ছবিগুলো কেটে রেখে দিতাম । যখন আমি কলেজে পড়ি তখন আমার এক বন্ধু আমাকে দীনবন্ধু মঞ্চে Exibition দেখাতে নিয়ে যায় ।সেখানে সমস্ত হাতের কাজের জিনিস গুলো দেখে আমার ভীষন ভালো লাগে ।আর সেই Exibition টা ছিল কনিকাদির ।আমি তারপর তারসাথে যোগাযোগ করি ।সেখান থেকেই আমার পথচলা শুরু।কনিকাদির কাছ থেকেই আমার সব শেখা।মাঝে কিছুবছর সংসার আর মেয়েদের সামলাতে গিয়ে এসব কাজ থেকে দূরে থাকতে হয়। তখন একটু মন খারাপ লাগত ।তবে এখন আমার জীবনসঙ্গী ও মেয়েরাই আমাকে উৎসাহ
দেয়। আর যার কাছে আমি এই কাজ শিখেছি সেই দিদি সবসময় আমায় উৎসাহ দিয়েছে।তার থেকে আমি যা চেয়েছি তার থেকে অনেক বেশি পেয়েছি।কনিকাদির উৎসাহে আমার এই নেশা কিছুটা পেশায় পরিণত হয়েছে ।সব ধরণের কাপড়ের ওপর fabric করা ছাড়া tie-die ও clay দিয়ে কাজ করতে আমার খুব ভাল লাগে।এছাড়া যখন স্কুল গুলোতে ওয়ার্ক শপ করি ,শিশুদের সেই আনন্দ আমাকে ভীষণ আনন্দ দেয়।আমি চাই আমার মত এরকম অনেক মেয়ে ও বৌরাও আছে যারা অনেক হাতের কাজ জানে, ঘরের অনেক ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়েই অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস তৈরি করা যায়,তারাও এই কাজে এগিয়ে আসুক।

মানসী দে
শিলিগুড়ি, হাকিম পাড়া