সাংসারিক কাজের ফাঁকেই সঙ্গীত চর্চা করেন গীতশ্রীদেবী

শিল্পী পালিতঃআজ আমাদের আত্মকথা বিভাগে গীতশ্রী সরকারের কথা মেলে ধরা হচ্ছে। ছোট বেলা থেকে সঙ্গীতের পরিবেশে বড় হয়েছেন গীতশ্রীদেবী। শুনুন তার কথা—–

—ছোটবেলা থেকে সঙ্গীতের পরিবেশে বড় হয়েছি। সঙ্গীত জীবনের প্রথম অধ্যায়ে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম নিয়েছিলাম বাবা প্রয়াত শ্রীযুক্ত সুধীর চন্দ্র ঘোষের কাছ থেকে। পরবর্তীকালে প্রয়াত সূর্য রায় এবং প্রয়াত উৎপল বোসের কাছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম নিয়েছি। তারপর শিলিগুড়ির বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী অভিজিৎ চক্রবর্তী মহাশয়ের কাছে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিখেছি। এছাড়াও ছোট থেকেই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক মঞ্চে বিভিন্ন আধুনিক সঙ্গীত পরিবেশন করেছি । কলকাতার মহাজাতি সদন সংলগ্ন ভবনের অন্তর্গত বিধান চন্দ্র গ্রন্থাগার সেমিনার হলে বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী অভিজিৎ চক্রবর্তী মহাশয়ের সাথে দুই বার সঙ্গীত পরিবেশন করার সুবর্ন সু্যোগ পেয়েছি। আধুনিক , লোকসঙ্গীত, রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে থাকি। আসলে সংগীত হলো আমার কাছে গভীর ভালোবাসার সমান। প্রত্যেক বছর উত্তরবঙ্গ উৎসব, বইমেলা, পৌষমেলা, হস্তশিল্প মেলায় আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করার আমন্ত্রন পেয়ে থাকি। এর পাশাপাশি একটি গানের গ্রুপও রয়েছে , যার নাম “ঐকতান মিউজিক্যাল গ্রুপ”। বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী নির্মল গাঙ্গুলি মহাশয় এই গানের বিষয়ে আমায় যথেষ্ট সাহায্য করে থাকেন। ব্যস্ত সাংসারিক জীবনে গৃহকার্যের মধ্যবর্তী সময়ের থেকে কিছু সময় বের করে নিয়মিত সঙ্গীত অভ্যাস করা হয়ে থাকে। সর্বশেষে বলা যেতেই পারে যে, এই সঙ্গীত জীবনে স্বামীর যথেষ্ট অবদান রয়েছে , যার উৎসাহ ও সাহায্যের ফলেই এখনও অবধি সঙ্গীতকে চালিয়ে যেতে পারছি। তিনি খুবই সঙ্গীতপ্রিয় ও ভালো মনের মানুষ। তার অবদানের কারনেই আজ সঙ্গীতের এই পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছি। তিনি সববিষয়ে সবরকম স্বাধীনতা দিয়েছেন। তিনি যথেষ্ট স্বাধীনচেতা ভাবনার মানুষ। সংগীতের পাশাপাশি “সৌমী” নামক সমাজসেবামূলক সংস্থার সাথেও যুক্ত রয়েছি। এরফলে সেবামূলক কার্যের স্বার্থে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। এই সংস্থাটি বিভিন্ন গ্রাম ও শহরাঞ্চলের এলাকায় বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করে চলেছে। ফলে এই সংস্থাটির সাথে যুক্ত হতে পেরে আজ সত্যিই গর্বিত। তবে জীবনে অনেক প্রশংসা অর্জন ও উপহার লাভ করার পর খবরের ঘন্টা সংবাদমাধ্যম আজ আমার দীর্ঘ সংগীত জীবন আত্মপ্রকাশের যে সুবর্ন সুযোগ দিয়েছে তার জন্যে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।এর সাথে ধন্যবাদ জানাই এই সুন্দর বড় সুযোগটি প্রদান করার জন্য। এর জন্য ধন্যবাদ জানাই বাপী ঘোষ ও শিল্গী পালিতকে। পরিশেষে সংগীতের ভাষায় বলা যেতে পারে – ”গানই আমার জীবন ওগো গানই অামার কাঁদা-হাসা”।

#