স্বামীজির বই পড়ে শিল্প কারখানা

নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়িঃ স্বামী বিবেকানন্দের বই তার কাছে বড় শক্তি। স্বামীজির বই-ই তার কাছে পুঁজি। আর সে বই পড়েই তিনি শিল্প কারখানা তৈরিতে উৎসাহিত হন।আজ তার কারখানায় কাজ করে অনেকের সংসার চলছে। আর বাঙালিরা শিল্প বিমুখ বলে যখন প্রচার করা হয় তখন উত্তরবঙ্গের শিল্প উদ্যোগীদের মধ্যে কিন্তু তার নাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। শিলিগুড়ি সেভক রোড দুই মাইল এলাকায় অবস্থিত শিল্প তালুকে এই শিল্পোদ্যোগীর নাম শ্যামল সরকার।
শ্যামল সরকার।সরকার টাইলস ইন্ড্রাস্ট্রির কর্ণধার। ১৯৯২ সালে তার প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু।প্রথমে ভেন্টিলেটর তৈরি দিয়ে যাত্রা শুরু করেন।আজ বিভিন্ন রকম টাইলস তিনি তৈরি করছেন।ইন্টারলকিং পেভার ব্লক থেকে শুরু করে গালিচা টাইলস,মোজাইক টাইলস, চেকার টাইলস সহ আরও অনেকরকম টাইলস তিনি তৈরি করছেন। ৪২ রকম ডিজাইনের টাইলস তৈরি করে তিনি সেসব উত্তরপূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সরবরাহ করছেন। শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে আবাসন শিল্পের প্রসার বাড়তে থাকায় শ্যামলবাবুদের টাইলসের চাহিদা বাড়ছে।গুজরাট,মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, কলকাতা থেকে এসব টাইলস তৈরির কাঁচা মাল তারা নিয়ে আসেন। এরসঙ্গে স্থানীয়ভাবে সিমেন্ট এবং বালিপাথরকে তারা কাজে লাগান।শ্যামলবাবু বলেন, চাকরির ওপর ভরসা না করে নিজে কিছু করা। ছোট ছোট শিল্প কারখানা খুললে অনেকের কর্ম সংস্থান হতে পারে,তাছাড়া নিজেও স্বনির্ভর হওয়া যায়। শিলিগুড়ি এমন একটি স্থানে অবস্থিত যে এখান থেকে শিল্প কারখানায় উৎপাদিত পণ্য বিপণনের অনেক সুবিধা আছে। কেননা পাশেই অনেকগুলো রাজ্য আর দেশ আছে। প্রথমে এই শিল্প কারখানা খুলে তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো মানসিক শক্তি তিনি পেয়েছেন স্বামী বিবেকানন্দের বিভিন্ন বই থেকে।স্বামীজির বই তাকে শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করবার শক্তি দিয়েছে। এখন শ্যামলবাবুর বয়স ৪৯ বছর। তার কথায়, যুব সমাজ চাকরির দিকে না তাকিয়ে স্বনির্ভর হওয়ার জন্য শিল্প কারখানা খোলায় নজর দিতে পারে।আর যুবাবস্থায় তাদের কাছে মনোবল বাড়ানোর বড় শক্তি হতে পারে স্বামীজির বই।স্বামীজির ছবি সামনে রেখেই শ্যামলবাবু কাজ করছেন। স্বামীজির ভাবকে সামনে রেখে শ্যামলবাবু বিভিন্ন সামাজিক কাজও করছেন।