
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ ফুল আর ফুল। তার সঙ্গে বই। দুইয়ের সুবাসে আজকের দিনে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন শিলিগুড়ি এস এফ রোডের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনীয়ার কৌস্তুভ বিশ্বাস। শিলিগুড়ি এস এফ রোডের আনন্দ মঙ্গল স্কোয়ারে বাড়ি কৌস্তভবাবুর। কিন্তু তাঁর বাড়ির ছাদ এখন শুধু জিনিয়া, গাঁদা, ডালিয়া, গোলাপ,চন্দ্রমল্লিকা সহ হরেকরকমের ফুলের সুবাস ছড়িয়ে চলেছে। তার সঙ্গে বহুরকমের ফলতো আছেই। আপেল, কুল, আঙুর, ডালিম, আম, কাঁঠাল কি নেই। তার পাশাপাশি আবার ব্রোকোলি, টমাটো, বাঁধাকপি আরও কত কি।

ব্যতিক্রমী নেশা কৌস্তভবাবুর। ফুলের নেশার সঙ্গে বই পড়ার নেশা। ছাদের মধ্যে ফুলফলসব্জি বাগানের গায়েই তাঁর ছোট গ্রন্থাগার। সেখানে তিনি বইয়ের নেশাতেও মাতেন। একসময় বেসরকারি টেলিকম সংস্থায় চাকরি করতেন। বহু টাকা বেতন ছিল, বহু অর্থের প্রলোভন ছিল। কিন্তু সে চাকরি করতে গিয়ে যে তাঁর ফুল বাগানের নেশা মার খেতে বসেছিল। সে চাকরি করতে গিয়ে যে তাঁর বই পড়ার নেশা মার খেতে বসেছিল। তাই সেসব ছেড়ে দিয়ে মেতেছেন ফুল আর বইয়ের সুবাসে। কিন্তু তাঁর রুটিরুজি? হ্যাঁ, তার জন্য নিজেই ইলেকটিক্যাল ইলেকট্রনিকস প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তাতে কর্মসংস্থানও হচ্ছে বেশ কয়েকজনের। কৌস্তুভবাবু বলেন, সবুজের নেশা আজ সকলের মধ্যে বৃদ্ধি করা দরকার। সবুজই আমাদের সুস্থ ভাবে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। প্রসঙ্গত সদ্য সমাপ্ত শিলিগুড়ি ফুল মেলায় কৌস্তভবাবুর বহু ফুলের টব বহু পুরস্কার জিতে নিয়েছে।