কষ্ট করে ডাক্তারি পাশ, সোনুকে ঘিরে উৎসাহ জলপাইগুড়িতে

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ প্রতিকুল পরিস্থিতি এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়না চিকিৎসক হয়ে তা আরও একবার প্রমান করলেন জলপাইগুড়ির সোনু। এমবিবিএস উপাধি নিয়ে বাড়ি ফিরলেন টিবি হসপিটাল পাড়ার সোনু। খুশির বাধ ভাঙলো এলাকায়। ঘরের ছেলে ঝটিকা সফরে বাড়িতে আসায় রাতেই ফুল ও মিষ্টি দিয়ে বরন করে নিলো এলাকাবাসী।
জলপাইগুড়ি টিবি হসপিটাল রোড সংলগ্ন সারদাপল্লী এলাকার বাসিন্দা ডাক্তার সোনু দাস। মা শ্রীমতি রিতা রাজবংশী একজন অঙ্গনওয়ারি কর্মী। সোনুর বয়স যখন মাত্র আট বছর তখন তার বাবা বাবন দাস স্ত্রী ও শিশু পুত্রকে ফেলে রীতাদেবীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ করে অন্যত্র চলে যায়। সংসারে নেমে আসে অত্যন্ত কষ্ট। এরপর রিতাদেবী সংসারের হাল ধরতে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী হিসেবে কাজে যোগ দেন। এরপর অত্যন্ত কষ্ট করে সোনুকে পড়াশোনা শিখিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাশ করান। এর সাথে চলতে থাকে জয়েন এন্ট্রান্স এর প্রস্তুতি। অভাবী মেধাবী সোনুর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সাফল্যের খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এরপর জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদ সহ অন্যান্য সংস্থা এগিয়ে আসে তাকে সাহায্য করতে। এরপর জয়েন এন্ট্রান্স এর ফল বেরোলে দেখা যায় সোনু ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছে। খবর চাউর হতে ফের এগিয়ে আসেন তার আত্মীয় স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীরা। তিনি এমবিবিএস পড়ার জন্য ভর্তি হয়ে যান উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। দীর্ঘ চার বছর পড়াশুনার পর অবশেষে এলো সাফল্য। বর্তমানে সোনু দাসের নামের আগে উঠে গেলো ডাক্তার। সেই দিনের সোনু এখন ডাক্তার সোনু দাস নামে পরিচিতি লাভ করলেন। তবে এখানেই সন্তুষ্ট নন সোনু। তিনি চান আরও পড়াশোনা করে একজন শল্য চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে অসহায় মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে।