
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ কেন এতো গরম,তার ব্যাখা করতে গিয়ে পরিবেশবিদ বিজ্ঞানী,বুদ্ধিজীবি, চিকিৎসক সকলেই বলছেন,প্রকৃতির প্রতি মানুষের অত্যাচারের জন্য বিশ্ব উষ্ণায়ন বাড়ছে।নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন মানুষকে আজ কষ্টের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সকলের সঙ্গে একমত হয়ে আধ্যাত্মিক জগতের ব্যক্তিরাও বলছেন,প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের বিরুপ আচরণ বা মানুষের অসৎ মনোভাবের বাড়বাড়ন্তের জন্যই আজ গরম বাড়ছে। আর মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। শিলিগুড়ি ইসকন মন্দিরের সভাপতি স্বামী অখিলাত্মাপ্রিয় দাস বলেন,অতীতে রাজা মহারাজারা অনেক পবিত্র ছিলেন।আগে রাজা মহারাজারা প্রচুর সৎ কাজ করতেন।কিন্তু এখন সেই অবস্থা নেই। মূল্যবোধের অবক্ষয় দিনকে দিন বেড়ে চলেছে। এরমধ্যেই আসছে রথযাত্রা। প্রতি বছর রথযাত্রার দিন জগন্নাথ দেব পুরী থেকে বৃন্দাবনে যান মাসির বাড়ি গুন্ডিচা মন্দিরে।
কিন্তু কেন জগন্নাথ দেব এই সময় রথযাত্রা উপলক্ষে মাসির বাড়ি যান,তার ব্যাখ্যায় শিলিগুড়ি ইসকন মন্দিরের সভাপতি স্বামী অখিলাত্মাপ্রিয় দাস বলেন, পুরীর জগন্নাথ মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন। মন্দির প্রতিষ্ঠার পর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বা জগন্নাথ দেব রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নকে বলেছিলেন, তুমি কি বর চাও? জবাবে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন বলেন,এক নম্বর যে বরটি প্রার্থনা করছি তা হলো আপনি সবসময় ভোগ গ্রহণ করবেন।জগন্নাথ দেব তাতে রাজি হন।সেই থেকে শুরু হয় ৫৬ ভোগ। দ্বিতীয় যে বরটি রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন প্রার্থনা করেন,তা হলো তিনি যেন নিঃসন্তান থাকেন।তাঁর যেন কোনো পুত্র সন্তানাদি না হয়। স্বয়ং ভগবানের কাছে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন এইরকম বর প্রার্থনা করায় রাজার স্ত্রী গুন্ডিচা কান্নায় ভেঙে পড়েন।গুন্ডিচাদেবী তাঁর স্বামীকে বলেন,কেন তুমি নিঃসন্তান থাকার বর চাইলে? রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন জবাবে বলেন,সন্তান প্রার্থনা করি নি এইজন্য যে সন্তান হলে অহঙ্কার বৃদ্ধি পাবে।আমার পরিবর্তে উত্তরাধিকার সূত্রে এই মন্দিরের দাবিদার হবেন আমার সন্তানেরা।তাদের মধ্যে তখন এনিয়ে অহঙ্কার বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু জগন্নাথ মন্দিরতো সকলের। যিনি জগতের সকল মানুষের নাথ, পরম আত্মা, তিনিই জগন্নাথ। তাই তিনি সন্তান প্রার্থনা করছেন না।সমগ্র প্রজা সাধারণের জন্য এ তাঁর আত্মত্যাগ। কিন্তু গুন্ডিচাদেবীর মন তাতেও খুশি না। তখন জগন্নাথ দেব তাঁকে জানালেন,আমিতো তোমার সন্তান। আমি প্রতি বছর তোমার বাড়ি যাবো রথ যাত্রার সময়।সেই সময় তোমার কাছে থাকবো আট নয়দিন ধরে। তখন তুমি আমায় সন্তানের মতো সেবা কোরো।
সেই থেকেই রথযাত্রায় জগন্নাথ দেব মাসির বাড়ি গুন্ডিচা মন্দিরে যাত্রা করেন। জগন্নাথ দেব রথ যাত্রায় বেরিয়ে আসলে মানুষের দুয়ারে গিয়ে সকলকে দর্শন দেন।
শিলিগুড়িতে প্রতি বছরের মতো এবারেও ইসকনের রথ যাত্রা বের হবে। এবারে শিলিগুড়ি ইসকন রথের মাসির বাড়ি তৈরি হচ্ছে ডাবগ্রাম সূর্য নগর মাঠে। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, সাংসদ রাজু বিস্ত প্রমুখ এবার শিলিগুড়ি ইসকন রথের দড়িতে টান দেবেন।

বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন ——