শিলিগুড়িতে ইসকনের রথযাত্রা,এবার রক্তদানে সাধুরা

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ স্নানযাত্রার পর জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন জগন্নাথ দেব!!তাই পনের দিন ধরে গুলঞ্চ,বাসক, তুলসি, লবঙ্গ, দারচিনির মাধ্যমে তৈরি আয়ুর্বেদিক পাচন গ্রহণ করে এখন সুস্থ জগন্নাথ দেব!! এই কদিন তিনি ছিলেন আইসোলেশনে!!সোমবার তিনি মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন!!!।শিলিগুড়ি ইসকন মন্দির চত্বরেই এবার তৈরি হয়েছে মাসির বাড়ি!!!।সেখানে আগামী সাতদিন ধরে মাসিরা জগন্নাথ দেব, বলরাম, সুভদ্রার সেবা করবেন!!। করোনা পরিস্থিতির জন্য এবার শিলিগুড়িতে বিখ্যাত ইসকন রথ রাস্তায় বের হবে না বলে জানিয়েছেন শিলিগুড়ি ইসকনের সভাপতি স্বামী অখিলাত্মাপ্রিয় দাস। তিনি রবিবার খবরের ঘন্টাকে জানিয়েছেন, শিলিগুড়ি ইসকন রথের শুভ সূচনা হবে সোমবার সকাল এগারোটায়।শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার এই রথ যাত্রার শুভ সূচনা করবেন মন্দির চত্বরে ঝাড়ু দিয়ে। তারপর মন্দির চত্বরে তৈরি অস্থায়ী মাসির বাড়িতে সাত দিন মাসিদের সেবা নেবেন জগন্নাথ দেব।
#শিলিগুড়ি_ইসকনে_সাধুদের_রক্ত_দান
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ রথযাত্রাকে সামনে রেখে আগামী ১৮ জুলাই শিলিগুড়ি ইসকন মন্দির চত্বরে রোটারি ক্লাবের সহযোগিতায় বিরাট রক্ত দান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। সেই শিবিরে ইসকনের সাধুরাও রক্ত দান করবেন।বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে রক্তের সঙ্কট মেটাতে এই আয়োজন। শিলিগুড়ি ইসকন কর্তৃপক্ষ মনে করে, মানুষের সেবাই ঈশ্বর সেবা। রবিবার শিলিগুড়ি ইসকনে জনসংযোগ আধিকারিক নামকৃষ্ণ দাস জানিয়েছেন, শুধু রক্ত দানই নয়,রথযাত্রাকে সামনে রেখে গত মে মাসের ৮ তারিখ থেকে তাদের মানবিক কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বিগত ৩৮ দিন ধরে শিলিগুড়ি ও তার আশপাশের করোনা আক্রান্ত এক হাজারেরও বেশি মানুষকে তাঁরা ভোগের প্রসাদ ছাড়াও রান্না করা বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দিয়েছেন তার সঙ্গে সুকনো খাবারও পৌঁছে দিয়েছেন। ইসকন প্রতিষ্ঠাতা আচার্য ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের ১২৫ তম জন্মজয়ন্তীকে সামনে রেখে ২০২০-২০২১ সালে তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। তাদের ৭৭টি কেন্দ্র এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে। ১৬ কোটি মানুষকে তাঁরা খাদ্য পৌঁছে দিয়েছেন। শিলিগুড়িতে এমনও হয়েছে সুদূর আমেরিকা থেকে পুত্র তাঁর অসুস্থ বাবা মাকে খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইসকন সাধুদের কাছে মেইলে আবেদন জানালে সাধুরা নিয়মিত সেই বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন ভোগের প্রসাদ সমেত।হোম আইসোলেশনে থাকা অনেক করোনা আক্রান্ত রোগীর সাধারণ খাবারে অরুচি হলেও ভোগের প্রসাদ পেয়ে তা আনন্দে গ্রহণ করেছেন।