ফেলে দেওয়া সামগ্রী দিয়ে অন্যরকম প্রতিভার নজির

অপু রানী উকিল ঃআজ খবরের ঘন্টার পাঠকদের প্রতিভা দাস নামে এক মহিলার প্রতিভার কথা জানাবো। শিলিগুড়ি বাবুপাড়া নিবাসী এই পঁচাত্তর বছর বয়সী মহিলা, প্রতিভা দাস,ফেলে দেওয়া অনেক অব্যবহার্য জিনিসকে সযত্নে কাজে লাগিয়ে তৈরি করে চলছেন একের পর এক সব শিল্পকর্ম। প্রচার বিমুখ এই মহিলা বাদাম,পেস্তার খোসা থেকে শুরু করে আইসক্রিম এর কাঠি, দিয়াশলাই এর কাঠি,সব কিছুকেই তার গুণী হাতের ছোঁয়ায় শৈল্পিক মাত্রা দিয়ে চলেছেন।

কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নয়, শুধুমাত্র ছবি দেখে আর নিজের কল্পনা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তিনি তৈরি করতে সক্ষম এসব শিল্পকর্ম। এতে মহেঞ্জোদারো সভ্যতা থেকে সতীদাহ প্রথা,তাজমহল থেকে নৈসর্গিক দৃশ্যাবলী কিছুই যেন বাদ যায়নি।
স্কুল,কলেজের বিভিন্ন প্রোজেক্ট তৈরির নির্ভরতম স্থানও হয়ে উঠেছে ওই মহিলার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান “রুপিয়োসী বুটিক”।
ব্যক্তিগতভাবে আমার সাথে ওনার পরিচয় তিন বছর।তবে তাকে কখনো বসে থাকতে দেখিনি।শিল্পকর্ম ছাড়াও ব্যক্তিগত জীবনেও অত্যন্ত উদার মানসিকতাসম্পন্ন এই মহিলা।লোকজনকে নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াতেও খুব ভালোবাসেন তিনি।
তার প্রতিষ্ঠান এর সংস্পর্শে এসে, হাতের কাজ শিখে অনেকেই স্বনির্ভর হচ্ছেন।শুধুমাত্র শখের বশবর্তী হয়েই এই বয়সেও তার এই নিরলস পথচলা দেখে অনুপ্রাণিত হতে হয়।
পথে যেতে যেতে তার তৈরি দোকানটি আপনার নজর কাড়বেই।থমকে দাঁড়াতে হবেই আপনাকে।বয়স যে কেবলমাত্র একটা সংখ্যা তার উদাহারণ তিনি।
সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে।চারদিক নিস্তব্ধ ,তখনই যেনো সৃষ্টির নেশায় সক্রিয় হয়ে উঠে তার চিন্তাধারা। একসময় গান ভালোবাসতেন,গাইতেনও।যার সাক্ষী বহন করে চলেছে তার ঘরের পুরোনো হারমোনিয়ামটি।
মাঝে মাঝে বাড়িতে সঙ্গীতের আসরও বসান তিনি।”পুরানো সেই দিনের কথা—-“তার প্রিয় একটি গান।গুনগুন করে সুরে সুর মেলান।তার সমবয়সীরা যখন বিভিন্ন শারীরিক,মানসিক টানাপোড়ন, টিভি সিরিয়াল আর জীবনের না পাওয়ার হিসেব মেলাতে ব্যাস্ত, তখন তিনি ব্যাস্ত তার আপন জগতে।সৃষ্টি সুখের উল্লাসে——