নিজস্ব প্রতিবেদন:
বর্তমান প্রজন্মের অনেক ছেলেমেয়ের মধ্যে ক্রমশ কমছে সহনশীলতা। ক্ষুদ্র মনোমালিন্য, মানসিক চাপ কিংবা আবেগের বশবর্তী হয়ে অল্প বয়সেই অনেকেই অসহিষ্ণু আচরণে জড়িয়ে পড়ছে। এর জেরে পরিবারগুলো দুশ্চিন্তায় পড়ছে।

বিশেষত কিছু তরুণ-তরুণী বাড়ি থেকে রাগ করে বেরিয়ে যাওয়ার পর পাচার চক্রের ফাঁদে পড়ে মারাত্মক বিপদের মুখে পড়ছে— নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তাঁদের অমূল্য জীবন।
সব ছেলেমেয়ে নয়— কিন্তু একটি বড় অংশের মধ্যে এই অসহিষ্ণুতা সমাজে নতুন সংকট তৈরি করছে। জাতি বা ধর্ম নির্বিশেষে বহু পরিবার আজ এই সমস্যায় বিপর্যস্ত।
মানবজীবন অত্যন্ত মূল্যবান— সৃষ্টিকর্তা মানুষকে পাঠিয়েছেন সমাজকে সুন্দর করে তোলার উদ্দেশ্যে। তাই জীবনের প্রতি অবহেলা বা তা ধ্বংস করার কোনও যুক্তি নেই।
এই বাস্তব পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনায় বসছেন শিলিগুড়ির চম্পাসারি সমরনগর এলাকার সমাজসেবী প্রিসকিল্লা ইলোরা লাকড়া। সারা বছর নীরবে সমাজসেবা করলেও কখনও প্রচারে আসতে চান না তিনি।
বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রিসকিল্লাদেবী বলেন,
“আমাদের আগামী প্রজন্ম যদি ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলে, তবে আমরা আরও সুস্থ সমাজ ও দেশ পাবো। কিছু ছেলে-মেয়ে অসহিষ্ণুতার কারণে যেন ভুল পথে না যায়— সেই জন্যই আমরা প্রভু যীশুর কাছে প্রার্থনা করছি।”
তাঁর কথায়, প্রভু যীশুখ্রিস্ট বলেছেন— “তোমরা যা প্রার্থনা করবে, তা-ই পাবে।”এই আশ্বাস মনে রেখে তিনি ও তাঁর সহযাত্রীরা সব তরুণ-তরুণীর মঙ্গলকামনায় বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনা করবেন।

