মিজোরামের রাজধানী শহরের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ রেল যোগাযোগ স্থাপনের প্রক্রিয়া শেষের পথে

DCIM100MEDIADJI_0085.JPG

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ উত্তর পূর্বের সব রাজ্যের রাজধানী শহরকে বিজি রেল লাইনের মাধ্যমে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে রেল মন্ত্রক। তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মিজোরামে ভৈরবী সাইরাং নয়া রেলওয়ে লাইন নির্মানের প্রকল্পটি কার্যকর করতে চলেছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে। এন এফ রেলওয়ের মুখ্য জনসম্পর্ক আধিকারিক শুভানন চন্দ জানিয়েছেন, উন্নত রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা শুধু যে মিজোরামেরই আর্থিক বিকাশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে তাই নয়, এর ফলে সমগ্র উত্তর পূর্বাঞ্চলই উপকৃত হবে। রাজ্যের ব্যবসায়ীরা দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় সামগ্রীসমূহ ছাড়াও নির্মান শিল্পের সামগ্রীও অনেক কম মূল্যে ক্রয় করতে সক্ষম হবেন। আর এমনটা করা যাবে কার্যকর ব্যয় তথা পরিবেশবান্ধব উপায়ে। রাজ্যের কৃষকরা কম দামে এবং কম সময়ের বাধ্যবাধকতার মধ্যে তাদের উৎপাদন সামগ্রী বিভিন্ন রাজ্যের বিশাল বাজারে পাঠাতে পারবেন।

২০০৮-২০০৯ সালে ভৈরবী সাইরাং নয়া রেললাইন প্রকল্পটি অনুমোদন লাভ করেছিল। পুরো প্রকল্পটির দৈর্ঘ্য ৫১.৩৮ কিলোমিটার। পুরো প্রকল্পটির জন্য খরচ ধরা হয়েছে আনুমানিক ৫৫২১.৪৫ কোটি টাকা। প্রকল্পটি রুপায়নে গতবছর পর্যন্ত ৩৭৬৩.৬৩ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই খরচ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ এই রেল পথে সবমিলিয়ে ৫৫টি বড় এবং ৮৭টি ছোট আকারের সেতু থাকবে। এছাড়া আরও থাকবে ৫টি রোড ওভারব্রিজ এবং ৬টি রোড আন্ডারব্রিজ। এছাড়া এই প্রকল্প নির্মানের স্বার্থে বেশ কিছু সুড়ঙ্গও তৈরি করা হবে। সুড়ঙ্গের জন্য আনুমানিক মোট ১২৬৩৯.২০ মিটার কাজ করতে হবে। ভৈরবী সাইরাং বিজি লাইন প্রকল্প নির্মানের জন্য ৪৮৭.৪৭ হেক্টর (আনুমানিক) জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে এবং ৩৪৭.৮৯ লক্ষ কিউবিক মিটার আর্থ ওয়ার্ক করা হয়েছে। ভৈরবী থেকে থাকবে প্রধানত চারটে স্টেশন –হরতকী, কাওয়ানপুইত,মুয়ানখাং এবং সাইরাং। ওদিকে সাইরাং থেকে মিজোরামের রাজধানী আইজল কিন্তু খুব একটা দূরে নয়। সম্প্রতি ২০২১-২০২২ সালের যে বাজেট পেশ করা হয়েছে তাতে ভৈরবী সাইরাং রেললাইন প্রকল্পের জন্য এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। অর্থ বরাদ্দের ফলে ২০২৩ সালের মার্চ মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রেল মন্ত্রক।