নেতাজি বিয়ে করেননি,শিলিগুড়িতে দাবি বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর নাতনির

বাপি ঘোষ,শিলিগুড়িঃঃ বীর দেশনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু নাকি বিয়েই করেননি।এমেলিকে নিয়ে তার সম্পর্কে যেসব কথা বলা হয় তার সবটাই অপপ্রচার।আর বিমান দুর্ঘটনাতেও নেতাজির মৃত্যু হয়নি।শিলিগুড়িতে সাংবাদিকদের কাছে এমন দাবিই করলেন মহাশ্বেতা মহলানবিশ।সম্পর্কে তিনি বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর নাতনি।দেশের স্বাধীনতা দিবসের আগে মহাশ্বেতাদেবীর ওই দাবি নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
শিলিগুড়ি মাল্লাগুড়িতে বহু দিন ধরে একটি কাঠের বাড়িতে বসবাস করেন মহাশ্বেতা মহলানবিশ। অসুস্থ থাকায় তিনি বহু বছর ধরে মাল্লাগুড়ির কাঠের বাড়িতে ঘর বন্দি।বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন তার দাদু।তার মায়ের জ্যেঠু হলেন জগদীশচন্দ্র বসু। গাছেদেরও প্রান আছে আবিস্কার করে বিশ্ব বিখ্যাত হওয়া প্রতিভাবান বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর নাতনি মহাশ্বেতাদেবী বহু বছর ধরে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর একটি অটোগ্রাফ এবং বানী নিয়ে তার ঘরে বসে আছেন। সেবা ও ত্যাগ ব্যতীত স্বাধীনতা পাব না,এটাই হল সেই বানী।এবানী নেতাজি লিখেছিলেন নিজে হাতে।১৯৩৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর নেতাজি নিজে হাতে এই বানী লিখেছিলেন রেঙ্গুনে বসে। স্বাধীনতা সংগ্রামী অনিতা বসু নেতাজির আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। গোপনে ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহন করেছিলেন অনিতাদেবী।তিনি থাকতেন রেঙ্গুনে।আর রেঙ্গুনে নেতাজি গেলে তার সঙ্গে দেখা করেছিলেন অনিতাদেবী।সেই সময় বীর দেশনায়ক নেতাজি তার অটোগ্রাফ সহ ওই বানী নিজে হাতে লিখে দিয়েছিলেন। এই অনিতাদেবী সম্পর্কে মহাশ্বেতাদেবীর আপন মাসি।১৯৯৩ সালে প্রয়াত হন অনিতাদেবী।তার আগে ১৯৯১ সালে তিনি শিলিগুড়ি এসেছিলেন।আর শিলিগুড়িতে থাকার সময় মহাশ্বেতাদেবীর হাতে নেতাজির বানী সম্বলিত অটোগ্রাফ উপহার হিসাবে দিয়ে যান অনিতাদেবী।এরপর থেকে মাসির দেওয়া মূল্যবান উপহারটি নিজের সংগ্রহে বেশ যত্নে রেখেছেন মহাশ্বেতাদেবী।এর উপযুক্ত মূল্যায়ন পেলে সরকারের হাতে তিনি তা তুলে দিতে চান। শনিবার মাল্লাগুড়ির বাড়িতে বসে মহাশ্বেতাদেবী এসব নিয়ে নানান কথার মধ্যে দাবি করলেন,তিনি মাসির কাছে শুনেছেন,নেতাজি বিয়ে করেননি।নেতাজিকে নিয়ে এমেলির সঙ্গে বিয়ের সব কথা অপপ্রচার।আর বিমান দুর্ঘটনাতেও নেতাজির মৃত্যু হয়নি। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে শিলিগুড়ির সমাজসেবী মদন ভট্টাচার্য শনিবার মহাশ্বেতাদেবীর কাছে গিয়ে তাকে ফুলমিস্টি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। একই সঙ্গে সব শুনে বলেন,তিনি মহাশ্বেতাদেবীর সব বিষয়টি সরকারকে জানাবেন, তার পাশাপাশি নেতাজির হাতে লেখা অটোগ্রাফ সহ বানীটি উপযুক্ত মূল্যায়নের বিনিময়ে নেতাজি মিউজিয়ামে পাঠানোর আবেদন করবেন।