
নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ জমিদারি প্রথা বর্তমানে না থাকলেও নিয়ম নিষ্ঠার সাথে দুর্গা পূজার আয়োজন করে চলেছেন ইটাহার চুড়ামনের তৎকালীন জমিদার মোহনী মোহন রায় চৌধুরীর বংশধর। উল্লেখ্য তৎকালীন ইটাহার থানার চুড়ামনের জমিদার মোহনী মোহন রায় চৌধুরীর আমলে জমিদারি অট্টালিকাতে ধুমধাম করে মা দুর্গার পূজার আয়োজন করা হত। মূলত মহানন্দা নদীর ধারেই এই রাজ্য বিস্তার লাভ করে কারন এই নদী দিয়ে ব্যবসা বানিজ্যের আমদানি রপ্তানি হত। এই রাজবংশের পূজাকে কেন্দ্র করে আগে মহিষ বলি সহ যাত্রা পালার আসর এবং বিশাল মেলা বসত। কিন্তু বর্তমানে বলি বন্ধ করেছেন বংশধরেরা।

তবে ধীরে ধীরে জমিদারী প্রথা শেষের দিকে। কিন্তু নিয়ম নিষ্টার সাথে দুর্গা পূজার আয়োজন করে চলেছেন মোহনী মোহন রায় চৌধুরীর বংশধরেরা। চৌদ্দ পুরুষ ধরে তার বংশধর পূজার আয়োজন করে চলেছেন তবে জমিদারের সেই অট্টালিকা নেই। সবই ভেঙ্গে গিয়ে জঙ্গলের আকার ধারণ করেছে।
বর্তমানে কালের অপেক্ষায় জঙ্গলের ফাঁক দিয়েই উঁকি দিচ্ছে জমিদারির ধংসাবশেষ। নেই জমিদারি তবে দীর্ঘ দিন যাবৎ ভাঙ্গা ফুটো মন্দিরে দুর্গা পূজার আয়োজন করা হলেও গত বছর ধরে মায়ের নতুন মন্ডপ তৈরী করেছেন রায় চৌধুরীর বংশধর কৌশিক রায় চৌধুরী। কর্ম ব্যস্ততায় কৌশিক রাজ্যের বাইরে থাকলেও পূজার আগে বাড়িতে প্রতিবছর আসেন। এই পূজার সময় বংশ ধরের আত্মীয়রা যারা বাইরে থাকে সবাই বাড়ি ফিরে পূজোর কাজে হাত লাগান। রায় চৌধুরীর বংশধর কৌশিক রায় চৌধুরী বলেন, বর্তমানে জমিদারি নেই তবে নিয়ম নিষ্টার সাথে পূজার আয়োজন করা হয়। আগে ধূমধাম করে পূজার আয়োজন করা হত। যাত্রা পালা,মহিষ বলি সহ বিরাট মেলা বসত তবে এখন আর সেসব না থাকলেও দশমীতে ছোট আকারে মেলা বসে, শিব মন্দিরের পাশে মুসলিম সম্পদায়ের কোন ব্যাক্তিকে দিয়ে পির বাবার নিশানা এখনো লাগানো হয়। যদিও এবার করোনার জন্য মেলা হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এলাকার বাসিন্দা শুভাশীষ সরকার বলেন, ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি জমিদারি পূজা, তবে এখনও নিয়ম নিষ্টার সাথে আয়োজন করা হয় পুজো। এই পূজার ঐতিহ্য হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন কেননা এখনো সেই মুসলিম সম্পদায়ের কোন ব্যাক্তিকে দিয়ে দশমীর দিন দুর্গা মন্দিরের পাশে শিব মন্দিরের ধারে পির বাবার নিশানা লাগানো হয় যা পূর্ব পুরুষদের আমল থেকে হয়ে আসছে।