ফিলিপিন্স থেকে শান্তির বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে দিকে দিকে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজে নেমেছেন এই বিশিষ্ট সমাজসেবী /১

বাপি ঘোষ ঃ শান্তি, শান্তি, শান্তি। শান্তির সন্ধানে সব মানুষ এখন ঘুরছেন। সংসারে অশান্তি, সমাজে অশান্তি, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অশান্তি। বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি। আজ আমাদের মনিপুর অশান্ত হয়ে রয়েছে।আর সমস্ত অশান্তিই আমাদের পিছনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাই এই প্রতিবেদন শান্তি নিয়ে কিছু আলোচনা মেলে ধরা হচ্ছে।
এশিয়া মহাদেশের একটি দ্বীপের মধ্যে অবস্থিত দেশ হলো ফিলিপিন্স। একটা সময় এই দেশে শুধু হানাহানি আর গোলাগুলির শব্দে বহু মানুষের প্রানহানি ঘটতো।বহু প্রচেষ্টার পর আজ সেই দেশে শান্তি ফিরে এসেছে। গত ১৫ মে থেকে জুনের ৬ তারিখ পর্যন্ত ফিলিপিন্সে শান্তি নিয়ে এক বিরাট প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হলো।সেই শিবিরে জাপান, আমেরিকা,অস্ট্রেলিয়া সহ পৃথিবীর ৩৪টি দেশের প্রতিনিধি যোগ দেন। সমাজে কিভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় তা নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়।শিলিগুড়ি থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওয়েস্টবেঙ্গল ভলান্টারি হেলথ এসোসিয়েশনের বিশিষ্ট সমাজসেবী ও সমাজতত্তবিদ তরুন কুমার মাইতি সেই প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেন। এই নিয়ে দুবার ফিলিপিন্সে অনুষ্ঠিত শান্তি প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিলেন তরুনবাবু।এর আগে ২০১৫ সালেও শান্তি প্রশিক্ষণ শিবিরের যোগ দিয়েছিলেন প্রতিভাবান সমাজসেবী তরুণ মাইতি। সেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নানারকম কাজ করছেন তরুণবাবু।তার নেতৃত্বে শিলিগুড়ি মহকুমার খড়িবাড়ি ও নকশালবাড়ি এলাকায় তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি পীস ক্লাব। তরুনবাবু স্থানীয়ভাবে তৈরি করেছেন বেশ কয়েকজন পিস বিল্ডার। বিগত কিছু দিন ধরে নকশালবাড়ি ও খড়িবাড়ির ১৫০টি পরিবার তাদের পারিবারিক অশান্তি নিয়ে তরুনাবাবুদের কাছে এসেছিলেন।তারমধ্যে একশটি পরিবারে শান্তি ফিরে এসেছে তাদের মধ্যস্থতায়।শান্তির পরিবেশ তৈরির জন্য আরও পীস ক্লাব গঠন,আরও পীস বিল্ডার তৈরির দিকে নজর দিয়েছেন তরুনবাবুরা। আজকের এই প্রতিবেদনে তরুনবাবু প্রাথমিকভাবে মেলে ধরেছেন কিভাবে সমাজে শান্তি আসতে পারে, চলুন শোনা যাক ধারাবাহিক এই প্রতিবেদন
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন —