
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলার অনেক লোকসংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে। আবার অনেকে বাংলার ঐতিহ্যমন্ডিত লোকসংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। এইসব লোকসংস্কৃতির মধ্যে অন্যতম হল মনসামঙ্গল কাব্য কাহিনীর পালাগান। গতবছর থেকে অবশ্য করোনার বিধিনিষেধের জন্য এই পালাগানেও তার প্রভাব পড়ে। এবারেও সেই প্রভাব রয়ে গিয়েছে। যদিও এরমধ্যেও ঘরোয়াভাবে মনসামঙ্গল কাব্যের পালাগান হচ্ছে। আগামী ১৭ আগস্ট এবছর মনসা পুজো।তার আগে শিলিগুড়ি হায়দরপাড়ার শরৎ চন্দ্র পল্লীতে শিল্পী রাজু বড়ুয়া ওরফে খোকনের নেতৃত্বে শুরু হয়েছে মনসামঙ্গল কাব্যের কীর্তন বা পালাগান। রাজুবাবু জানালেন, ছেলেবেলা থেকে তিনি তাঁর মায়ের কাছে মনসামঙ্গলের পাঠ শুনে আসছেন। সেই পাঠ থেকে মনসামঙ্গল কাব্যের পালাগান করা তাঁর নেশায় পরিনত হয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে প্রতি বছর তিনি মনসা পুজোর আগে টিম নিয়ে অসমে যান মনসা মঙ্গলের পালা গান করতে। গতবছর থেকে করোনার জেরে প্রভাব পড়েছে। তাই এখন ঘরোয়াভাবে মনসামঙ্গল কাব্যের অনুষ্ঠান করতে হচ্ছে। বাংলার এই ঐতিহ্যমন্ডিত সংস্কৃতির প্রতি নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের এগিয়ে আসার আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।
