
শিল্পী পালিতঃ প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আমরা নিয়মিত এই ওয়েব পোর্টালের আত্মকথা বিভাগে আমাদের সম্পাদক মহাশয়ের চিন্তা অনুযায়ী ইতিবাচক ভাবনাকে প্রসারিত করতে বিভিন্ন শিল্পী, কবির আত্মকথা প্রকাশ করছি। আপনাদের কাছে আবেদন , আমাদের এই ওয়েবপোর্টাল www.khabarerghanta.in subscribe করুন। তবে আপনি নিয়মিত এই ওয়েব পোর্টালের পোস্টগুলো পেয়ে যাবেন। আজ আত্মকথা বিভাগে কলকাতার রিজেন্ট এস্টেট শ্রীকলোনি থেকে শিল্পী শুভাশিস রায়চৌধুরী মেলে ধরেছেন তাঁর কথা —-

*আমার কথা*/শুভাশিস রায় চৌধুরী
ওপার বাংলা থেকে আসা এক ছিন্নমূল পরিবারে আমার জন্ম -যে পরিবার বহু জীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গেলেও জীবনবোধ হারায়নি। সংগীতের মাধ্যমে খুঁজে পেয়েছে বেঁচে থাকার রসদ ।ছোট থেকে দেখেছি পিসি বাবা কাকার নিয়মিত সঙ্গীত চর্চা। তাদের হাত ধরেই শুরু হলো সঙ্গীত জীবন। তবে আমার গান বাজনাশেখার ক্ষেত্রে আমার মার উৎসাহ ছিল অসীম।
শুরু হলো সঙ্গীত গুরু হরিপদ সাহার তত্ত্বাবধানে ধ্রুপদী সঙ্গীত শেখা। ছোটবেলা থেকেই দেবব্রত বিশ্বাসের অনবদ্য গায়কি আমাকে আকৃষ্ট করত। টেপ রেকর্ডার চালিয়ে নিবিষ্ট চিত্তে জর্জদার আমি চঞ্চল হে বা মেঘ বলেছে যাব যাব শুনে গান তোলা ও গাওয়া আমার কাছে নেশার মত ছিল।
ক্যালিপসো রেকর্ড প্লেয়ারে ঘুরে চলা বিভিন্ন পাশ্চাত্য সঙ্গীতের রেকর্ড আর আকাশবাণী কলকাতা খ এর পরিবেশিত
পশ্চিমী সংগীত ভালবাসতে শেখালো বিদেশী গানকে। Down the way র সুরে সুরে ভরে গেল জীবন।
ভূপেন হাজারিকা, ক্যালকাটা ইয়ুথ কয়্যারের গাওয়া বিভিন্ন গণসঙ্গীত আমাকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখত। পারিবারিক আসরে দিদি ভাই বোনদের সঙ্গে গান গাওয়া, আসানসোল কয়লা খনি অঞ্চলে বন্ধুদের সঙ্গে গানের দল বানিয়ে গণসঙ্গীত পরিবেশন বা দামোদরের চড়ায় বসে গিটার বাদন-সবই গানের প্রতি আদ্যন্ত ভালোবাসা থেকে। পিছিয়ে পড়া পরিবারের শিশুদের গান শেখানোর মধ্যেও আমার অপার আনন্দ ।
কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন বাংলার বাইরে থাকতে হয়েছে। এখন নিজের রাজ্যে এসে আবার ছাত্রাবস্থায় ফিরে গেছি । তালিম নিচ্ছি গিটারে শ্রী টুটুল গাঙ্গুলী মহাশয় এর কাছ থেকে এবং সিন্থেসাইজার এ শ্রী সরোজ বড়ুয়া মহাশয় এর কাছে। যন্ত্র সঙ্গীতের প্রতি আমার ভালোবাসা আমাকে টেনে নিয়ে গেছে উকুলেলে, মেলোডিকা বা মাউথ অর্গান বাজানোর দিকেও। এভাবেই আমার শেখা চলেছে নিরন্তরভাবে। সংগীতের মূর্ছনাতে কাটিয়ে দিতে চাই আমি আমার বাকি জীবন।
ঠিকানাঃ শ্রী কলোনি
রিজেন্ট এস্টেট
কোলকাতা।