
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ রবিবার শিলিগুড়ি হায়দরপাড়ার শরৎ পল্লীতে বিজ্ঞানী ও লেখক নির্মলেন্দু দাসের বাড়িতে কাব্য নিকেতনের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সন্মাননা দেওয়া হয় মাদার টেরেসার স্নেহধন্য চিকিৎসক পি বি চৌধুরীকে।তার কথায় উঠে আসে মানুষের জীবনে মায়ের ভূমিকা। সেই অনুষ্ঠানে সঙ্গীতে অংশ নেন কেয়া বসু, নবনীতা চক্রবর্তী, তপন রায় চক্রবর্তী ও বাউল সঙ্গীতে গণেশ বিশ্বাস প্রমুখ। অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন কাব্য নিকেতনের কর্ণধার নির্মলেন্দু দাস। তাঁকে বিশেষ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয় তার মূল্যবান লেখা আমেরিকার থেকে প্রকাশিত একটি বায়োলজিক্যাল পত্রিকায় আত্মা ও মন– গাণিতিক বিশ্লেষণের জন্য। উপস্থিত সবাই দাঁড়িয়ে তাঁকে উষ্ণ সম্বর্ধনা দেন। কারন তিনি শুধু শিলিগুড়ি বা পশ্চিমবঙ্গের নন, ভারতের অন্যতম কৃতি সন্তান। উপস্থিত অনেকেই তার এই কাজের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান। বিশিষ্ট লেখক সাহিত্যিক তথা গবেষক অধ্যাপক ডঃ গৌরমোহন রায়ের মতে নির্মলেন্দু দাসের এই সন্মানের জন্য তাকে আরো বড় মাপের সম্বর্ধনা দেওয়া উচিত। তিনি আরো বলেন যে উত্তরবঙ্গ জুড়ে আনুমানিক দুই কোটি লোকের বসবাস কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই অর্থে গবেষকের সংখ্যা খুবই কম বিশেষ করে সাহিত্য সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়ে। নির্মলেন্দু দাসের পত্নী শ্রীমতী গোপা দাসের বেশ কয়েকটি গান সবার গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয়। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আন্তর্জাতিক বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি সমিতির শিলিগুড়ি শাখার সম্পাদক সজল কুমার গুহ। কর্ণধার নির্মলেন্দু দাসের ৯৫ বছর বয়স্কা মা মুকুল দাসের স্ব-রচিত কবিতা পাঠ অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল, এছাড়া শিক্ষক প্রেমানন্দ রায় এর তিস্তার উপর কবিতা উপস্থিত সবার প্রশংসা পায়। এছাড়া কবিতা পাঠে অংশ নেন স্মৃতিকণা মুখোপাধ্যায়, আশিষ চক্রবর্তী, সজল কুমার গুহ প্রমুখ।
