শিক্ষানুরাগী পুলিশ, বেকায়দায় পড়া দুই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে সঠিক পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দিলো পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ  সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশও ক্রমশই মানবিক হচ্ছে। একটা সময় পুলিশের ভাবমূর্তি ছিলো যে পুলিশ মানেই লাঠি আর বন্দুকধারী। পুলিশ মানেই লাঠিপেটা করা ভিন্ন জগতের নির্মম কিছু মানুষ। কিন্তু সময়ে বহু কিছু বদলে যায়।এখন কিন্তু পুলিশের চেহারা অন্যরকম।পুলিশ আজকাল রক্ত দান করে, পুলিশ এখন গরিবদের মধ্যে বস্ত্র এবং কম্বল দান করে। মঙ্গলবার শুরু হওয়া উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পুলিশ এমন প্রমানও করলো যে তাঁরা শিক্ষানুরাগী,তাঁরা শিক্ষা দরদী মন নিয়েও কাজ করেন। পুলিশ শুধু চোর ডাকাত ধরার জন্য নয়।
মঙ্গলবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনই ভুলকরে অন্য পরীক্ষাকেন্দ্রে চলে গিয়েছিল শিলিগুড়ির দুই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।
তখন পরীক্ষায় বসার সময়ও প্রায় শেষের দিকে।
অবশেষে পুলিশের সহযোগিতায় সঠিক সময়ের মধ্যেই নিজের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছল দুই পরীক্ষার্থী।
মঙ্গলবার শিলিগুড়ির দুই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী তড়িঘড়ি বাড়ি থেকে বের হয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যায়। আর পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়েই প্রথম দিনেই বিপদে পড়ল তারা। শিলিগুড়ি হিন্দি বালিকা বিদ্যালয়ের ঐ দুই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সিট পড়েছে জ্যোৎস্নাময়ী গার্লস হাইস্কুলে। কিন্তু এই দুজন ছাত্রী ভুল করে শিলিগুড়ি গার্লস হাইস্কুলে চলে যায়।সেই স্কুলে গিয়ে হন্যে হয়ে সিট নাম্বার খুঁজতে থাকে তারা। কিন্তু কিছুতেই যখন তারা সিট নম্বর খুঁজে পাচ্ছিল না ,, সেই সময় তারা বুঝতে পারে,,, তাদের ভুল হয়েছে। তৎক্ষণাৎ পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে ওই পরীক্ষাকেন্দ্রে কর্মরত পুলিশ অফিসার এস,আই গোপাল মন্ডলকে তারা বিষয়টি জানায়। তৎক্ষণাৎ ওই পুলিশ অফিসার পুলিশের গাড়িতে তাদেরকে তুলে শিলিগুড়ি গার্লস হাই স্কুল থেকে সঠিক পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেয়।
এই ঘটনায় তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে স্কুলের সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে অভিভাবকরা।। পুলিশের এমন মানবিক কাজে খুশি হয়ে সামাজিক মাধ্যমে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশকে শুভেচ্ছা বার্তায় ভরিয়েদিচ্ছেন শহরবাসী।