
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ মানবিকতার পরিচয় দিলেন জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়।
জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে
রোগী নিয়ে এসে হাতে থাকা শেষ সম্বল টুকুও হারিয়ে ফেলে বিকাপে পড়েন এক মহিলা। কি করবেন বুঝতে পারছিলেন না। হঠাৎ হাসপাতালে মাইকিং হতে থাকলো– হাসপাতালের ভেতরে কিছু টাকা পাওয়া গেছে যার টাকা উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে নিয়ে যাবেন। আর তড়িঘড়ি দৌড়ে গিয়ে ওই মহিলা দ্বারস্থ হলেন সিকিউরিটি বিভাগে। টাকা হারানোর প্রমাণ দিয়ে টাকা ফেরত নিয়ে হাফ ছেড়ে বাঁচলেন তিনি । জানা গেছে ওই মহিলার নাম তৌফিনা বেগম, বাড়ি ময়নাগুড়ি সাপ্টিবাড়ি। তার অসুস্থ ভাগনিকে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য এসেছিলেন ৷ তারপর হাতে থাকা শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে ফেলে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। ঠিক মাঝরাতে হঠাৎ করে হাসপাতালে মাইকিং হয়। কিছু টাকা পাওয়া গেছে সেই টাকা উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে নিয়ে যাবেন। এর পর তৌফিনা বেগম হাসপাতালের সিকিউরিটি ইন চার্জ রবীন রায়ের অফিসে গিয়ে টাকা নিয়ে নেন। টাকা পেয়ে খুশি তৌফিনা। অন্যদিকে এনিয়ে সিকিউরিটি ইন চার্জ রবীন রায় বলেন,’আমাদের ওয়ার্ড বয় সঞ্জীব মন্ডল ডিউটি করার সময় টাকা কুড়িয়ে পায়। তারপর আমাকে জানালে আমি মাইকিং করি।”
অন্যদিকে ওয়ার্ড বয় সঞ্জীব মন্ডল বলেন,’আমরা হাসপাতালে কোন জিনিস পেলে নিজেরা নিই না। যা পাই সিকিউরিটি ইন চার্জকে জানাই। ‘
এই খবর জানাজানি হতেই ওয়ার্ড বয়কে কুর্ণিশ জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি আম জনতা।
