
শিল্পী পালিতঃ সকলকে শুভ দীপাবলি। আজ আমাদের এই ওয়েবপোর্টালে কলকাতা তুলিকা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কিছু উদ্ভাবনী শিল্প কর্ম নিয়ে লিখেছেন কিছু কথা—

ধন্যবাদ বীণাপাণি শিল্পীকে আমায় আমার কাজ নিয়ে কিছু লিখতে বলার জন্য। আমি অতি সাধারণ। খেয়াল খুশির সৃষ্টি নিয়ে মেতে থাকি।প্রকৃতি, মানুষ ভালোবাসি।তাই তাদের কথাই উঠে আসে আমার আঁকায়, লেখায়।কবে থেকে আঁকছি তা মনে নেই।ক্লাস সেভেনে পাড়ার আঁকার স্কুলে ভর্তি হই।রেগুলার ক্লাস করা হতো না।মাধ্যমিকের পর আমহার্সস্ট্রীটে মাষ্টার মশাই শ্রদ্ধেয় চিত্তরঞ্জন দাসের কাছে তিন, সাড়ে তিন বছর শেখার সূযোগ পাই।তাঁর কাছে গিয়ে বুঝতে পারি এতোদিন আমার কিছুই শেখা হয়নি। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য, মাষ্টার মশাইএর বয়সজনিত কারণে জীবনাবসান হয়।এরপর থেকে নিজেই পথ চলছি। রোজ দেখি, রোজ শিখি,রোজ চেষ্টা করি কাজ করার।আমার নিজস্ব উদ্ভাবনায় বানাই সবজি ও ফলের খোসার শিল্প।অস্থায়ী। ইচ্ছে আছে এই কাজ স্থায়ী করার।সব কিছুর মধ্যে শিল্প ধরা পড়ে। আর সেটাই আমি তুলে ধরি। প্রচুর মানুষ আমার কাজকে নিরন্তর উৎসাহ দিয়ে চলেছেন। তাঁদের কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।পরিবারের সম্পূর্ণ সহযোগিতা আমায় কাজে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে রোজ।খুব ইচ্ছে করে শহর, গ্রাম নানান শিল্পে সাজিয়ে তুলতে।সবাইকে বলি আঁকতে জানুন বা না জানুন, রং তুলি নিয়ে বসুন। যেমন খুশী রং ছড়ান।মন ভালো থাকবে।ভালো থাকবে শরীর। ভালো থাকলে ভালো রাখতে পারবেন সবাইকে।।।।
তুলিকা বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা