নিজস্ব প্রতিবেদন,১৫ নভেম্বর:
প্রতিদিন নিয়ম করে গড়ে পাঁচ কিলোমিটার হাঁটেন তিনি। ফলে ডায়াবেটিস বা সুগার তাঁর ধারে-কাছে নেই। আজকের দিনে যখন অধিকাংশ কাজই চেয়ারে বসে করার ফলে কায়িক শ্রম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে, তখন ঘরে ঘরে বাড়ছে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি। এই বাস্তবতার কথাই বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসের দিন ১৪ নভেম্বর তুলে ধরলেন শিলিগুড়ি দেশবন্ধু পাড়া নিবাসী বিশিষ্ট সমাজসেবী ও পরিবেশবিদ দীপজ্যোতি চক্রবর্তী।

অপটোপিক সংস্থার উদ্যোগে পরিবেশ রক্ষার লক্ষ্যে যে দীর্ঘমেয়াদি আন্দোলন চলছে, তারই অঙ্গ হিসেবে ডায়াবেটিস দিবসে স্বাস্থ্য-সচেতনতার বার্তা সামনে আনেন দীপজ্যোতিবাবু। তিনি জানান, বিভিন্ন গবেষণা ও সাম্প্রতিক স্টাডি রিপোর্ট অনুযায়ী চিকিৎসকেরাও বলছেন যে বায়ুদূষণ এবং কেমিক্যাল সারের মাধ্যমে উৎপাদিত শাকসবজি মানবদেহে নানা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। এরই একটি বড় দিক হলো— পরিবেশ দূষণও ডায়াবেটিস বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হয়ে উঠছে।
তিনি আরও বলেন, “শহর ছাড়িয়ে যদি গ্রামের দিকে যাওয়া যায়, দেখা যায় ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। কারণ, গ্রামের মানুষ এখনো বেশি পরিমাণে কায়িক পরিশ্রম করেন, গ্রামীণ পরিবেশ অনেকটাই নির্মল এবং গোবর সারের চাষবাস থেকে খাদ্য গ্রহণ করেন বহু মানুষ।”
ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে তাই তিনি দু’টি মূল বার্তা সকলের কাছে পৌঁছে দেন— নিয়মিত হাঁটাহাঁটির অভ্যাস এবং পরিবেশ রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও দূষণমুক্ত পরিবেশই পারে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা নিতে— এমনটাই মনে করেন দীপজ্যোতি চক্রবর্তী।

