
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ দিনের পর দিন শিলিগুড়ি শহরের রাস্তা, ফুটপাত দখল করে নেওয়া হচ্ছে। তারফলে রাস্তা বা ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে পারছেন না অনেক সাধারণ মানুষ। এমনকি রাস্তা দিয়ে যানবাহনও ঠিকঠাকভাবে চলাচল করতে পারছে না। শহরের গতি হয়ে উঠছে মন্থর। বাড়ছে যানজট।এবার তাই শিলিগুড়ি পুরসভা এবং মেট্রোপলিটন পুলিশ আর চুপচাপ বসে থাকতে পারছে না।বুলডোজার দিয়ে বেআইনি দোকানপাট ভেঙে দেওয়ার কাজ শুরু হলো।পুরসভা এবং পুলিশের এই কাজকে স্বাগত জানাচ্ছেন বহু সাধারণ মানুষ।
একশ্রেণীর ব্যবসায়ী রাস্তা দখল করতে পিছপা হচ্ছে না। ফলে প্রতিদিন যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে শহর শিলিগুড়িকে। আর এর জেরে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটছে । অবাক করার মতো ঘটনা হলো রাস্তার ফুটপাত এবং রাস্তার উপরে পাকা দোকানও তৈরি করে ফেলছে এক শ্রেনীর মানুষ। পুরসভার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের অধীন ভক্তিনগর থানার সামনে থেকে শুরু করে আশিঘর মোর পর্যন্ত ইস্টার্ন বাইপাসের দুই পাশের রাস্তার উপর দিয়ে বসছিল দোকানপাট। এমনকি পাকা দোকান বানিয়েও ব্যবসা শুরু করেছিল বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী। অভিযোগ, কিছু রাজনৈতিক দাদার হস্তক্ষেপে চলছিল এই রাস্তা দখলের কারবার। হোটেল, গ্যারাজ,পানের দোকান থেকে মিষ্টির দোকান সব রাতারাতি তৈরি হচ্ছিল। রাস্তার পাশে পাকা ঘর করে সিমেন্ট ইটের দোকানও খুলে ফেলেছিল অনেকে!

অবশেষে অভিযান! বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হল ওইসব বেআইনি নির্মাণ! শিলিগুড়ি পুরসভার তরফে বুধবার সকালে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয় ভক্তিনগর থানার চেকপোস্ট মোড় থেকে রায় কলোনি মোড় পর্যন্ত। ভক্তিনগর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বুলডোজার নিয়ে অভিযান চালায় পুরসভা। একের পর এক ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বেআইনি নির্মাণ। দীর্ঘদিন ধরে পুরো সভার তরফে ওই ব্যবসায়ীদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছিল! কিন্তু দিনের পর দিন তারা রমরমা কারবার চালিয়ে যাচ্ছিল ইস্টার্ন বাইপাসের দুই পাশের রাস্তা ফুটপাত দখল করে! অবশেষে বুলডেজারের ধাক্কা। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো সমস্ত বেআইনি নির্মাণ।
শিলিগুড়ি শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে আনতে বদ্ধপরিকর শিলিগুড়ি পুরো সভা এবং শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ। পাশাপাশি শহরের গতি দ্রুত করতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে পুরো সভা । শহরের বিভিন্ন রাস্তা থেকেই ফুটপাতে থাকা দোকানপাট সরিয়ে দেওয়ার অভিযান ইতিমধ্যেই শুরু করেছে পুরো সভা। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব শহরকে সাজাতে ব্যস্ত। কোন রকম দখলদারি জবরদখল বরদাস্ত করা হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন গৌতম বাবু। তারই অঙ্গ হিসেবে বুধবার সাফ করে দেওয়া হলো চেকপোস্ট মোড় থেকে রায় কলোনি মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশের এলাকা।