
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জন্মের ইতিহাস অজানা থাকলেও জানা আছে তার বেড়ে ওঠাটা। আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবসে জন্ম তাঁর। ২২ থেকেই তাঁর স্থান তুফানগঞ্জ হাসপাতালের এস এন সি ইউ। ১৬০০গ্রাম বিশিষ্ট কন্যা শিশুটির প্রথম প্রায় ১মাস ধরে লেগেছিলো অক্সিজেন। গর্ভদাত্রী মা কাছে টেনে না নিলেও এস এন সি ইউতে তাঁর ৯ মা, যারা পালা করে ডিউটি সামলেও তার দেখভাল করে সব সময়। আদর করে তাঁর নামও রেখেছে কলি।

কেটে গিয়েছে প্রায় ৬ মাস। সোমবার সকাল থেকেই তুফানগঞ্জ এস এন সি ইউ এ সিস্টার দিদিদের উদ্দাম ছিল চোখে পরার মতো । যাঁরা সারারাত জেগে নাইট ডিউটি করেছেন এমনকি তাঁরাও ব্যস্ত ডেকোরেশনে। কারণ তাঁদের চোখের মণি কলির আজ মুখে ভাত। নতুন জামা পরিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে পায়েস এবং অন্যান্য সামগ্রী খাইয়ে অন্নপ্রাশন করলেন এস এন সি ইউ এর চিকিৎসক নার্স ও কর্মী বন্ধুরা। সবুজ পাঞ্জাবী পড়ে মামা সেজে কলির মুখে প্রথম ভাত তুলে দিলেন ডাক্তার সুকেশ কুমার দণ্ডপাত। নিজেদের সব কাজ ফেলে সকাল থেকে উপস্থিত ডাক্তার বিশ্বনাথ বর্মা, পুষ্পম প্রিয়ম দাস ও বিষ্ণু সিংও।
সর্বোপরি অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠানে আয়োজনে কোনও খামতি রাখেননি ইন চার্জ মৌসুমী পাল, সিস্টার টুম্পা দাস, প্রিয়াঙ্কা দাস, পূজা রায়, রণিতা বর্মা, লিমি,অদিতি, সুইটিরা। আর কোভিড কোয়ারেন্টাইনে ডিউটি থাকায় ভিডিও কলেই অন্নপ্রাশনে হাজির থাকলেন সিস্টার মুনমুন ব্যাপারী।
এক এক করে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালের এস এন সিইউ বিভাগের নার্স থেকে শুরু করে, ডাক্তারবাবুরাও কোলে পিঠে করে বড়ো করে তুলছিলেন। কিন্তু আজকে ছোট্ট কলিকে হোমের হাতে তুলে দেওয়ার সময় তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালের এস এন সিউ এর সকল নার্স ও ডাক্তাররা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে |চোখের জলে বিদায় দিলো ছোট্ট কলিকে |