
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ সোমবার করোনা আবহে সর্বত্র অন্যরকমভাবে ভাইফোঁটা পালিত হলো। কোথাও আবার লিঙ্গ বৈষম্য ঠেকানোর বার্তা নিয়ে হলো বোনফোঁটাও।

এবার অন্যভাবে ভাইফোঁটা পালন হলো শিলিগুড়ি অরবিন্দ পল্লীর জয়ন্ত দাসের বাড়িতে। সৌমী, সৃজনা এবং সৌনক তিনভাই বোন মিলে আজ একে অপরকে ফোঁটা দেয়, উপহার আদানপ্রদান করে।
তাঁরা খাওয়াদাওয়া হইচই করে কাটায় সারাদিন। আমাদের সমাজের অনেক প্রথা পুরুষদের কেন্দ্র করে হয়ে থাকে। ভাই ফোঁটা, ভাই ছাতু, রাখি ইত্যাদি। সেদিক থেকে এই ফোঁটা অন্যমাত্রা বহন করে। সেখানে হয় বোন ফোঁটাও। লিঙ্গ বৈষম্য ঠেকাতে অন্য বার্তা দেয় বোন ফোঁটা।
এনজেপির কনসার্ন পরিচালিত জাগৃতিতে প্ল্যাটফর্ম শিশুদের নিয়ে পালিত হয় ভাই ফোঁটা। প্ল্যাট ফর্মের শিশুদের মধ্যে ভাই বোনের সম্পর্ক আরও মজবুত করার মাত্রায় অন্য মাত্রা দেয় এই ফোঁটা।
শিলিগুড়ি শক্তিগড়ের ব্যতিক্রমী মহিলা টোটো চালক মুনমুন সরকার করোনায় সেরে ওঠা ভাইদের নিয়ে ভাই ফোঁটা উদযাপন করেন। এদিন সকালে মুনমুনদেবী চম্পাসারি থেকে শুরু করেন তাঁর ফোঁটা প্রদানের মহৎ কর্মসূচি। চম্পাসারি থেকে শক্তিগড় পর্যন্ত মোট ৪৫ জন করোনায় সেরে ওঠা ভাইকে ফোঁটা দেন মুনমুনদেবী। যে টোটোয় চাপিয়ে মুনমুনদেবী করোনা পজিটিভদের হাসপাতালে পৌঁছে দেন বিনা পয়সায় কিংবা করোনায় সেরে ওঠাদের বাড়ি পৌঁছে দেন সেই টোটোতে চাপিয়েই চলে তাঁর ব্যতিক্রমী ফোঁটা প্রদান অনুষ্ঠান। ফোঁটা প্রদানের পর তিনি মিস্টির প্যাকেট, মাস্ক, স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লাভস প্রভৃতি প্রদান করেন।

রায়গঞ্জ থেকে নবীনা সরকার সেনা বাহিনীতে কর্মরত শিবু পালকে ফোঁটা দিয়ে তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করেন।