ভূমিকম্পের রহস্য উদ্ধারে বাড়ির মধ্যে কৃত্রিম পৃথিবী তৈরি করেছেন এই বৃদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ  যে পৃথিবীর ওপর আমি আপনি বাস করছি, সেই পৃথিবীতে চব্বিশ ঘণ্টায় একদিন।কিন্তু বাড়ির মধ্যে গ্লোবের সাহায্যে এমন এক কৃত্রিম পৃথিবী তৈরি করেছেন এই বৃদ্ধ ব্যক্তি যে পৃথিবীর গতি আমাদের আসল পৃথিবীর ২২ দিন আগে চলমান। আর ২২ দিন আগে চলমান কৃত্রিম পৃথিবীর সঙ্গে থেকে আসল পৃথিবীর ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা ধরছেন ৭৩ বছরের এই বৃদ্ধ। তাঁর দাবি,আসল পৃথিবীর যে কোনো স্থানে ভূমিকম্প হওয়ার ষাট বা সিক্সটি ঘন্টা আগে তিনি তা ধরে ফেলছেন কৃত্রিম পৃথিবীর সঙ্গে থেকে। সম্প্রতি তুর্কীতে ভূমিকম্প হওয়ার আগেও তিনি তা ধরে ফেলেন। তার কৃত্রিম পৃথিবী তাঁকে জানান দিয়ে দেয় ভূমিকম্পের পূর্বাভাষ।সেই বৃদ্ধ এখন তাঁর মনের কথা জানাতে চান দেশের প্রধানমন্ত্রীকে।তাঁর বক্তব্য, সরকার তাঁর পাশে দাঁড়ালে ভূমিকম্প রহস্যের বহু তথ্য তিনি সরকার তথা জনগনকে দিতে পারবেন। তাঁর কথায়,তাঁকে সঙ্গে নিয়ে সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ নিলে ভূমিকম্প থেকে বহু ক্ষয়ক্ষতি বা প্রানহানি এড়ানো সম্ভব।
দীর্ঘ ৫৩ বছর ধরে ভূমিকম্প নিয়ে কাজ করে চলেছেন এই বৃদ্ধ। ৭৩ বছর বয়সী এই বৃদ্ধের নাম জয়দেব ধর।শিলিগুড়ি সুকান্ত নগরে তাঁর বাড়ি। ভূমিকম্প রহস্য নিয়ে কাজ করতে গিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত তিনি জেগে থাকেন।তাঁর ঘুম ঠিকমতো হয় না।সময়মতো খেতেও তিনি ভুলে যান।একবার হৃদরোগেও আক্রান্ত হয়েছেন।আর্থিক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখিতো সবসময়ই হচ্ছেন। সাধনা চালাতে গিয়ে দাড়িও তাঁর কাটা হয় না।তিনি তাঁর বাড়িতে মাটির নিচে অনেক তার প্রবেশ করিয়েছেন।তার সঙ্গে ঘরে বসিয়েছেন কিছু গ্লোব,পৃথিবীর মানচিত্র এবং কিছু যন্ত্রপাতি। সবমিলিয়ে এসবকেই তিনি কৃত্রিম পৃথিবী বলছেন।আর সেই কৃত্রিম পৃথিবী তাঁকে নিয়মিত পৃথিবীর কোথায় কখন ভূমিকম্প হবে তার আভাস দিয়ে চলেছে বলে জয়দেববাবু জানিয়েছেন। জয়দেববাবু উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান পৃথিবীতে অরন্য ধ্বংস ইত্যাদির জেরে আবহাওয়ার পরিবর্তন এসেছে। পরিবেশের ব্যাপক বিপর্যয় হতে থাকায় আবহাওয়া বদলে যাচ্ছে। আকাশে বজ্রপাত বা বজ্র-বিদ্যুৎও হচ্ছে ভয়ানকভাবে। আর সেই সঙ্গে সময়ে গরম বা শীত আসছে না।বিশ্ব উষ্ণায়ন হচ্ছে। বড় বড় ঝড় হচ্ছে। এইসবের জেরে পৃথিবীতে ভূমিকম্পের মাত্রাও বাড়ছে। মানুষ এখন যত বেশি করে প্রকৃতি ও পরিবেশকে ভালোবাসবে প্রকৃতি পরিবেশও তত শুদ্ধ হবে এবং মানুষের বিপদও কমবে। কিন্তু মানুষ যত বেশি প্রকৃতি পরিবেশের ওপর অত্যাচার করবে ততই মানুষের বিপদ ঘনিয়ে আসবে।