নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৭ নভেম্বর: কর্মসংস্থান এবং যুবসমাজের ক্ষমতায়নের এক উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে উঠল শিলিগুড়ির ‘রোজগার মেলা টু। দুই দিনের এই কর্মসংস্থান মেলার শেষ দিনে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি. ভি. আনন্দ বোস নির্বাচিত প্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র প্রদান করেন। এ উপলক্ষে রাজ্যপাল রোজগার মেলা টু-উত্তরবঙ্গের তরুণদের ভবিষ্যৎ গঠনে এবং ভারতের উন্নয়নের যাত্রাকে আরও শক্তিশালী করতে এক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে তুলে ধরেন।
রাজ্যপাল বলেন, “শিলিগুড়ির রোজগার মেলা টু– দেখিয়ে দিল, সমাজ, শিল্প ও প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করলে তরুণদের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে যায়। এই মেলা আত্মবিশ্বাসী, দক্ষ ও আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্নকে ধারণ করে। উত্তরবঙ্গ দ্রুত বিকশিত হচ্ছে, এবং শ্রী হর্ষবর্ধন শ্রিংলার দূরদর্শী উদ্যোগের জন্য বহুদিনের প্রতীক্ষিত এই সুযোগ আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। এটি শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়; ভারতের বিকশিত ভারত ২০৪৭ গঠনের পথে যুবসমাজকে এগিয়ে নেওয়ার এক আন্দোলন।”
রাজ্যসভা সদস্য ও দার্জিলিং ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি হর্ষবর্ধন শ্রিংলা সমস্ত কোম্পানি ও অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “রোজগার মেলা টু আমাদের প্রতিশ্রুতি প্রমাণ করে যে উত্তরবঙ্গের যুবসমাজ ভারতের উন্নয়নের যাত্রায় পিছিয়ে থাকবে না। দুই দিনের এই সাড়া দেখিয়েছে, আমাদের তরুণরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নতুন দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। আমরা গর্বিত যে আমরা তাদের যোগ্যতা ও সম্ভাবনাকে সঠিক সুযোগের সঙ্গে যুক্ত করতে পেরেছি।”
দুই দিনব্যাপী এই মেলায় হাজার হাজার আবেদনকারী অংশ নেন। তাদের জন্য ছিল ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং, দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক দিকনির্দেশ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের ৬০টিরও বেশি শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎকারের সুযোগ। বহু প্রার্থী এই মেলা থেকে চাকরির প্রস্তাব পেয়েছেন, যা তাদের লক্ষ্য ও স্বপ্নপূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উত্তরবঙ্গের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং যুবশক্তির ক্ষমতায়নের দিকে এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবেই সফলভাবে শেষ হল রোজগার মেলা টু।
