উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অরন্য সপ্তাহ

  1. নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি ক্যাম্পাসে বিভিন্ন প্রজাতির ফল ও ফুলের প্রায় ১২০টি বৃক্ষচারা রোপণের মাধ্যমে এ বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের অরণ্য সপ্তাহ পালন করছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চানন অনুরাগী মঞ্চ এবং জাতীয় সেবা প্রকল্প, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ও জলপাইগুড়ি ক্যাম্পাস। গত ১৪ জুলাই, ২০২২ তারিখে অরণ্য সপ্তাহ পালনের সূচনাদিবসে জলপাইগুড়ি ক্যাম্পাসে হরেক প্রজাতির তিরিশটি ফুল ও ফল গাছের সতেজ ও স্বাস্থ্যবান চারা রোপণের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের কর্মসূচিকে সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়।
    ১৮ জুলাই, ২০২২ দ্বিতীয় পর্বের কর্মসূচিতে আরও প্রায় ৩০ টি বৃক্ষচারা রোপণ করার পাশাপাশি আগামী তিন দিনব্যাপী অর্থাৎ ১৯,২০,২১ জুলাই ল চারাগাছ লাগানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিরসবুজ রাজারামমোহনপুর ক্যাম্পাসে। ১৮ জুলাইয়ের অরণ্য সপ্তাহ পালনের এই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের অনুষদ ড. সুভাষ চন্দ্র রায়, জয়েন্ট রেজিস্ট্রার ড. স্বপন কুমার রক্ষিত, বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় সেবা প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ড. মনোরঞ্জন ডিভিশনের ডিআরএফআর অশোক ব্যানার্জী। পঞ্চানন অনুরাগী মঞ্চের সভাপতি ড. নিখিলেশ রায় ও সম্পাদক ড.পরিমল চন্দ্র রায়ের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, আধিকারিক, শিক্ষাকর্মী, গবেষক, সাধারণ ছাত্রছাত্রী সহ অন্যান্যরা।
  2.  সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারাচ্ছে, তাই পরিবেশকে দূষণমুক্ত রেখে উন্নয়নের কথা বিজ্ঞান বিভাগের ডিনের মুখে শোনা যায়।
    স্বপনবাবু বলেন – একটি বৃক্ষ ছেদন যদি আমরা করি, তার পরিবর্তে আমরা যাতে দশখানা গাছ লাগাতে পারি এই অঙ্গিকার আমাদের রাখতে হবে।
    ‘আমি সবার ওপরে’ এই ধারণাটাই আধুনিক সময়ের মানুষকে অহংকারী করে তুলেছে এবং সমস্ত কিছুকে তুচ্ছ করে দিচ্ছে বলে নিখিলেশবাবু মনে করেন। তাঁর মুখে শোনা যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রায় একশো বছর আগেকার বলে যাওয়া কথা, প্রকৃতি এবং মানুষের সঙ্গে আমাদের বিচ্ছেদই সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের। এভাবেই তাঁর অরণ্য প্রকৃতির গুরুত্ব ব্যাখ্যার মধ্য দিয়ে অরণ্যসপ্তাহ পালনের দ্বিতীয় পর্বের বৃক্ষচারা রোপণের কাজ শুরু হয়।