নিজস্ব প্রতিবেদনঃ ওরা তৈরি করে মাটির প্রদীপ।ওদের হাতে তৈরি মাটির প্রদীপ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায়। ওদের হাতে তৈরি প্রদীপ জ্বালিয়ে বহু মানুষের ঘর আলোকিত হয় দীপাবলির রাতে। অথচ ওরাই থাকে অন্ধকারে।বহু সমস্যা ওদের আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে রেখেছে। আলোর উৎসবের আগে শিলিগুড়ির চয়নপাড়া পালপাড়ার প্রদীপ শিল্পীদের এখন বিভিন্ন সমস্যা।
গত বছরও যে মাটির প্রদীপ ৩০০ টাকা প্রতি হাজারে বিক্রি হয়েছে এবার তার দাম প্রতি হাজারে ২৮০ টাকাও হচ্ছে না। ত্রিশ বছর ধরে চয়নপাড়া পাল পাড়ায় মাটির প্রদীপ তৈরি করে আসছেন নিমাই পাল। তাকে তার স্ত্রী তাপসি পাল সহযোগিতা করেন। নিমাই পাল জানালেন, এবার পুজোর আগে বৃষ্টি হওয়াতে দিল্লি, মহারাষ্ট্রে সেভাবে মাটির প্রদীপ পৌঁছে দেওয়া যায়নি। আর দামও তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। তারপর চাহিদাও কম। মাটির প্রদীপ শুকনোর জন্যও পর্যাপ্ত জায়গা পাচ্ছেন না। এরজন্য তিনি সরকারি সহযোগিতা চান। তার বক্তব্য, এই মাটির প্রদীপ হল একটি ঐতিহ্যমন্ডিত শিল্প। আজকাল চিনের প্রদীপ সহ চিনের আলো প্রবেশ করেছে। ফলে তাদেরকে মাটির প্রদীপ নিয়ে আরও বেশি করে লড়াইয়ে নামতে হচ্ছে।
মাটি শিল্পী সাধন পালের দুটি পা-ই অসাড়। আর্থিক সঙ্গতি নেই। তবুও সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে তিনি লড়াই করছেন। তার চাই সরকারি সহায়তা। তিনি এরই সঙ্গে বলেন, মাটির প্রদীপ ছাড়াও আরও অনেক মাটির কাজ করেন তিনি। তবে তাদের চিন্তা বেড়েছে চিনের আলো ও চিনের পণ্য নিয়ে। দীপাবলির বাজার চিন গ্রাস করতে থাকায় মাটির শিল্পের প্রতি অনেকের আগ্রহ কমছে। আগামীতে আরও চ্যলেঞ্জের মধ্যে পড়তে চলেছে তাদের মাটি শিল্প। তারা তাই সরকার এবং সাধারণ মানুষকেও সচেতন হওয়ার কথা বলছেন।