
নিজস্ব প্রতিবেদন ঃ এখন থেকে এরাজ্যের বিভিন্ন মহকুমা শাসকের কাছে ভরনপোষণ সংক্রান্ত শুনানীর মামলায় প্রবীন নাগরিকরা আইনজীবীদের সহায়তা নিতে পারবেন। এতদিন একটি বিশেষ আইন অনুযায়ী মহকুমা শাসকেরা সেই সব প্রবীন নাগরিকদের ভরনপোষণ সংক্রান্ত শুনানির মামলায় আইনজীবীদের সহায়তা মেনে নিতেন না। কিন্তু গত ১৬ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে বিচারপতি শম্পা সরকারের এক রায়ে ওই পরিস্থিতি বদলে যেতে চলেছে। এডভোকেটস এক্টের ৩০ নম্বর ধারা অনুযায়ী এবার থেকে ওই ধরনের মামলায় প্রবীন নাগরিকরা মহকুমা শাসকের কাছে শুনানির সময় আইনজীবীদের সহযোগিতা নিতে পারবেন। শিলিগুড়ির বিশিষ্ট আইনজীবী সুনীল সরকার কেরল এবং দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে টেনে এনে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে এ বিষয়ে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে ওই রায় দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি শম্পা সরকার। সুনীলবাবু আরও বলেছেন, আদালতে কোনো মামলার শুনানির সময় আইনজীবীদের তার নির্দিষ্ট মামলার সেই কাজে বা সওয়ালে বাধা দেওয়া যাবেনা। প্রসঙ্গত সুনীলবাবু দ্য মেইনটেন্যান্স এন্ড ওয়েলফেয়ার অফ প্যারেন্টস এন্ড সিনিয়র সিটিজেনস এক্ট ২০০৭ নিয়েও সচেতনতার জন্য কিছু বক্তব্য মেলে ধরেছেন। অবক্ষয়ের জেরে আজকাল বহু ছেলেমেয়ে বয়স্ক বাবামাকে রাস্তায় ফেলে আসেন, এ প্রশ্নে আইন কি বলছে তার ব্যাখাও জানিয়েছেন সুনীলবাবু।
