নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়িঃ শিলিগুড়ি শহরে এখন বড় সমস্যা যানজট। পুজো এগিয়ে আসতেই যানজট আরও বাড়ছে। কারণ অনেকেই পুজো শপিংয়ে বেরিয়ে নিজেদের ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করছেন।এই অবস্থায় শিলিগুড়ি ট্রাফিক পুলিশের ডিসিপি নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি পুজো শপিংয়ে বের হওয়ার সময় যতটা সম্ভব নিজেদের ব্যক্তিগত চার চাকার গাড়ি কম ব্যবহারের পরামর্শ দিলেন।বৃহস্পতিবার ট্রাফিকের ডিসিপি কথাবার্তা বলেছেন খবরের ঘন্টার সঙ্গে।সেই সময় তিনি শিলিগুড়ির যানজট নিয়ে উদ্বেগ জানান। বলেন,শিলিগুড়িতে বড় সমস্যা হল রাস্তা কম আর সরু রাস্তা।অথচ যানবাহন বেশি। প্রতিদিন এশহরে তিন থেকে চার লাখ গাড়ি চলাচল করে। পুজো উৎসবের সময় এই সংখ্যা সাত থেকে আট লাখে পৌঁছে যায়।তার বাইরে কলকাতা বা বিহার থেকে অনেক গাড়ি আসে। ফলে শহরে পার্কিং একটি বড় সমস্যা। তাই পুজো শপিংয়ে বেরিয়ে মানুষ দূরে কোথাও গাড়ি পার্ক করে মার্কেটে কেনাকাটা করলে ভালো।আর শিলিগুড়িতে সকলের ট্রাফিক সচেতনতা দরকার। বহু টোটো বা অটো চালক যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলে।ফলে যানজট বৃদ্ধি পায়। প্রত্যেকের এজন্য সচেতনতা দরকার।দেখতে হবে,আমার ভুলের জন্য আরও দশটি গাড়ি পিছনে দাঁড়িয়ে পড়ছে কিনা। সামনে পুজো।গতবছর এই সময় পাহাড়ে বনধ আর আগুন জ্বলছিল।ফলে পাহাড়ে পর্যটক ছিল না। আর পর্যটক কম থাকায় শিলিগুড়ির ট্রাফিকের ওপর কম চাপ ছিল।এবারে কিন্তু পাহাড় শান্ত রয়েছে। পাহাড়ে আসার জন্য পুজো বুকিং শুরু হয়েছে। ফলে পুজো উৎসবে ট্রাফিকের ওপর অতিরিক্ত চাপ কিভাবে সামাল দেওয়া হবে তা নিয়ে চিন্তিত ডিসিপি। তবে শিলিগুড়ির পরিকাঠামো বৃদ্ধি হলে যেমন রাস্তার পরিসর বৃদ্ধি, আরও উড়ালপুল নির্মান হলে ট্রাফিক সমস্যার অনেকটা সমাধান হতে পারে বলে তিনি মনে করেন। তার কথায়, শিলিগুড়ি উত্তরপূর্ব ভারতের গেটওয়ে শহর। দার্জিলিং মোড় দিয়েতো আড়াই থেকে তিন লাখ গাড়ি যাতায়াত করে প্রতিদিন।এখন যদি পরিকাঠামো বৃদ্ধি না হয় তবে শহর আগামী দিনে আরও থমকে যাবে। খবরের ঘন্টার প্রয়াসে তৈরি হওয়া সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের গান শুনে তিনি এদিন তারল তারিফ করেন। পত্রিকা সম্পাদকের লেখা সেই গানে সুর দিয়েছেন পত্রিকার সহসম্পাদিকা শিল্পী পালিত।গানটি ছোট করা হলে তারা সেই গান দিয়ে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের প্রচার করবেন বলেও তিনি জানান।