নিজস্ব প্রতিবেদন, শিলিগুড়িঃ সেসব কিশোরীর অনেকেরই স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা কম। অনেকের আবার শিক্ষা এবং অর্থ সমস্যার কারনে স্বাস্থ্য সন্মত ন্যাপকিন ব্যবহারে অসুবিধে হয়। কেও তাদের এনিয়ে সচেতনও করেনি। প্রাচীন ধ্যানধারনা মনে রেখে অনেক অভিভাবক লজ্জা,লজ্জার কারনে তাদের এবিষয়ক সঠিক বিজ্ঞান শিক্ষা দেয়নি। ফলে তাদের কাছে ঝতু অবস্থায় কাগজ আর পুরনো নোংরা কাপড় ব্যবহার করাই রীতি।আর এর জেরে তারা অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই তাদের সেই অস্বাস্থ্যকর প্রথা ভেঙে তাদের আলোয় নিয়ে যেতে উদ্যোগী হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওয়ালড ভিশন। সংস্থার উদ্যোগে শিলিগুড়ি মহকুমার নেপাল সীমান্ত গ্রাম এবং ফাসিদেওয়া গ্রাম অঞ্চলে বিনামূল্যে কিশোরীদের মধ্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিলির কাজ শুরু হয়েছে। সেই ন্যাপকিন প্যাকেটে টুথ পেস্ট, নেল কাটার, সাবান,চিরুনি থাকছে।সংস্থার তরফে আমোস শিরিং জানিয়েছেন, তারা তিনটি গ্রামকে বেছে নিয়ে নারী পাচারের বিরুদ্ধে গ্রুপও তৈরি করছেন। এখন পর্যন্ত ৪০ টি গ্রুপ তৈরি হয়েছে। তাতে এক হাজার মেয়ে আছে।মেয়েদের বাবা বা অভিভাবকদের নিয়ে আলাদা গ্রুপ তৈরি হয়েছে। সবসময় নারী পাচারের বিরুদ্ধে সেখানে প্রচার চলছে। মেয়েদের নিয়ে ফুটবল খেলার টীমও তৈরি হয়েছে। ২০০ জন মেয়ে ফুটবল খেলার টীমে নাম লিখিয়েছে। এটার নাম গার্লস পাওয়ার গ্রুপ। বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধেও তাদের প্রচার চলছে। এরই সঙ্গে শিলিগুড়িতে এই সংস্থা নিষিদ্ধপল্লীর ৮০ জন যৌনকর্মীর ছেলেমেয়েকে সবসময় কাউন্সেলিং করে যাচ্ছে যাতে এই ছেলে বা মেয়েরা কখনই বড় হয়ে যৌন ব্যবসায় প্রবেশ না করে।